West Burdwan Theft Case : পাণ্ডবেশ্বরের গোঁসাই পাড়ায় চুরির ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক
West Burdwan Theft Case: রবিবার সকালে পাশের এক প্রতিবেশী তাঁকে ফোন করে জানান যে আপনার বাড়িতে চুরি হয়েছে। এই খবর শুনে রবিবার রাত্রি নাগাদ তাঁরা পৌঁছােন বাড়িতে। পৌঁছে দেখেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরো ঘর।
মনোজ বন্দ্যােপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: পাণ্ডবেশ্বর কলেজপাড়া, পাণ্ডবেশ্বর (Pandabeshwar) ডালুরবাধ ৪ নম্বরের পর এবার চুরির (theft) ঘটনা ঘটল পাণ্ডবেশ্বর গোঁসাই পাড়া এলাকায়। পরপর চুরির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বর জুড়ে। ঘটনা সূত্রে জানা যায় পাণ্ডবেশ্বর গোঁসাই পাড়ার বাসিন্দা সুনীল মোদি ছট পূজা উপলক্ষে স্বপরিবারে নিজের গ্রাম গিয়েছিলেন শনিবার দিন। রবিবার সকালে পাশের এক প্রতিবেশী তাঁকে ফোন করে জানান যে আপনার বাড়িতে চুরি হয়েছে। এই খবর শুনে রবিবার রাত্রি নাগাদ তাঁরা পৌঁছােন বাড়িতে। পৌঁছে তাঁরা দেখেন ছাদের ওপরে এসবেসটর ভাঙ্গা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সমস্ত ঘর। আলমারির তালাও খোলা। এরপর তিনি দেখেন বাড়িতে থাকা নগদ কয়েক হাজার নগদ টাকা সহ সোনার ও রুপার গহনা ও দামি বেশ কিছু শাড়ি চুরি গেছে ঘর থেকে। সোমবার সকালে সুনীল মোদি পাণ্ডবেশ্বর থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছােয় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। এই চুরির ঘটনা সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ (police)।
কিছুদিন আগেই কাটোয়ায় ঘটেছিল চুরির ঘটনা। কালীপুজো দিতে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। আর সেই সুযোগেই দিনে-দুপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার সোনা ও হীরের গয়না চুরি গেল। কাটোয়ার ঘটনা। শহরের ভেতরে দিনে-দুপুরে চুরি হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, কাটোয়া স্টেশন রোডের দাস পরিবারের গৃহবধূ তার দুই ছেলে ও শাশুড়ি কে নিয়ে কালীমন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন এদিন।
যখন বাড়িতে ফিরেছেন ততক্ষণে সব শেষ। পরিবারের লোক বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজার তালা ভাঙা। এর পরে ঘরে গিয়ে দেখা যায় আলমারি সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খোয়া গিয়েছে লক্ষাধিক টাকা, হীরের গয়না ও সোনার গয়না। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় কাটোয়া থানার পুলিশ। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
তবে ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়েও। সাধারণ মানুষের বক্তব্য দিনের বেলায় যদি এইভাবে চুরি হয় তাহলে রাতের বেলায় আরও ভয়াবহ ঘটতে পারে। এ নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।