West Burdwan: বিজেপি যুব মোর্চার দুই কর্মীকে মারধর, এক কর্মীর মার ওপরেও হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
বিজেপি যুব মোর্চার দুই কর্মীকে মারধর, এক যুব কর্মীর মার ওপরেও হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: বারাবনিতে (Baraboni) বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার দুই কর্মীকে মারধর। হামলার শিকার এক যুব কর্মীর মাও। মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। যদিও এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই বলে দাবি করেছে শাসক দল।
ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করা হচ্ছে বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার এক কর্মীকে। বাদ গেলেন না তাঁর মাও। মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয়েছে হামলার ছবি। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) বারাবনির গৌরান্ডি ছাতাডাঙায়। বাপি প্রধান, বারাবনির আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী বলছেন, 'আমি বিজেপি করি, তাই আমাকে বারবার মারধর করা হচ্ছে। শুধু এই যুব কর্মীই নন, মারধর করা হয়েছে আরও এক যুব কর্মীকে।'
গেরুয়া শিবিরের দাবি, যে দুই যুব কর্মীর উপর হামলা হয়েছে, বিধানসভা ভোটের পর তাঁরা দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘরে ফিরলেও, ফের তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। এদিকে, গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স।
উল্লেখ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা দাবি করলেন তৃণমূলে ফিরেছেন তিনি। যদিও শাসক দলের পাল্টা দাবি, এবিষয়ে তাদের কাছে খবর নেই। আর পদ্মশিবিরের বক্তব্য, কে এল-গেল তাতে মাথাব্যথা নেই তাদের। আর এসব নিয়েই শোরগোল পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়।
বিধানসভা ভোটের আগে বদল করেছিলেন শিবির। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তৎকালীন টাউন তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাউ। কিন্তু, এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ঘিরেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই ছবি পোস্ট করেছেন জয়ন্ত। ছবিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ছাড়াও, রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জেলা নেতা। আর এছবি দেখিয়েই জয়ন্ত সাউ দাবি করছেন, তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তবে তাঁর এই দাবিকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
এগরার তৃণমূল কংগ্রেস শহর সভাপতি উত্তম দাস জানিয়েছেন, শুভেন্দুর সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলেছেন, দুর্নীতি করেছেন, উনি যা প্রচার করছেন তা সত্যি নয়। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া ব্রিগেডও। সব মিলিয়ে দলবদল বিতর্কে তরজা তুঙ্গে ওঠে গতকালই।