জোর করে মাদক পাচারে নামানোর চেষ্টা, রাজি না হওয়াতেই খুন যুবক; বরাকরের ঘটনা গ্রেফতার ২
অভিযুক্তরা বাইরে পালানোর ছক কষেছিল বলে পুলিশের দাবি।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বরাকর যুবক খুনে মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার কুলটির বরাকর বাজার থেকে কিছুটা দূরে নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২৪ বছরের শাহবাজ খানের গুলিবিদ্ধ দেহ। মৃতের পরিবার অভিযোগ তোলে শাহবাজকে জোর করে মাদক পাচারে নামানোর চেষ্টা চলছিল। রাজি না হওয়াতেই খুন করা হয়। খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বান্টি মজুমদার ও তার সঙ্গী রাকেশ শর্মাকে গতকাল গভীর রাতে বরাকর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে পাকড়াও করে কুলটি থানার পুলিশ। অভিযুক্তরা বাইরে পালানোর ছক কষেছিল বলে পুলিশের দাবি।
সম্প্রতি হরিদেবপুরে একটি খুনের ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। প্রৌঢ় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ হরিদেবপুর থানা এলাকার চক রামনগরে। এলাকার লেদ কারখানার মধ্যেই মেলে প্রৌঢ় ব্যবসায়ীর গলা কাটা দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তপন দে। পরিবারের দাবি, গতকাল রাত ১১টার পরেও বছর পঞ্চান্নর প্রৌঢ় বাড়ি না ফেরায়, কারখানার পাশেই বাপের বাড়িতে ফোন করে খোঁজ নেন স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গিয়ে কারখানার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন ওই ব্যবসায়ীকে।
এ দিন রাতেই ঘটনাস্থলে যায় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা, আনা হয় স্নিফার ডগ। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে খুন খতিয়ে দেখছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পর্ণশ্রীতে মা-ছেলের খুনের ঘটনার রহস্যভেদের আগেই হরিদেবপুরে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় শহরে ফের চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে তপন দে বয়স (৫৫) লেদ কোম্পানির মালিক তিনি একাই কাজ করতেন এই কারখানায়। গতকাল রাত্রে যখন ১১টা বেজে যায়, সেই সময় তপনবাবু বাড়িতে না যাওয়ায় তপনবাবু স্ত্রী কারখানার পাশেই বাপের বাড়িতে ফোন করে। তখনই বাপের বাড়ির লোকজন কারখানায় গিয়ে দেখে রক্তাক্ত দেহ গলার নলি কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ছুরি ও ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন।
১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা দেনা ছিল ওই ব্যবসায়ীর, দাবি পরিবারের। তা নিয়ে মানসিক অশান্তিতে ছিলেন তিনি। তাই আত্মহত্যা নাকি খুন, তদন্ত শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসে হরিদেবপুর থানার পুলিশ এর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসেন লালবাজারের হোমিসাইড এবং নিয়ে আসা হয় স্লিপার ডগ। তদন্ত শুরু করে হরিদেবপুর থানা পুলিশ।