West Mindnapore: দাঁতনে অবৈধ চোলাই মদের কারবার, আফগারি দফতরের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি
West Midnapore News: দাঁতন থানার পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ অভিযানে সাফল্য আসে অবৈধ চোলাই মত তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে আসে আবগারি দফতর।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: দাঁতনে অবৈধ চোলাই মদ কারবারির ঘটনা। আর তা নিয়ে আফগারি দফতরের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও বচসা বাঁধে। আফগারি দফতরের কর্মীদের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এদিন দুপুরে দাঁতন থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযানে নামে দাঁতন আবগারি দফতর। দাঁতনের গোলা বাজার এলাকায় অভিযানে গিয়ে আফগারি দফতর দেখতে পায় একটি ঘরে অবৈধ চোলাই মত তৈরি চলছে সেই সময় আফগারি দফতর কর্মীরা গিয়ে চোরাই ঠেক ভেঙে চোলাই মদ তৈরির সামগ্রী নষ্ট করে ফেলে। সেই সময় বচশা শুরু হয় চোলাই কারবারিদের সঙ্গে। সেই সময় আবগারি দফতরের কর্মীরা অবৈধ চোলাই তৈরির সরঞ্জাম হাঁড়ি নিয়ে আসতে চাইলে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় হাঁড়ি ছিনিয়ে নিতে চায় অবৈধ চোলাই কারবারিরা। যদিও দাঁতন থানার পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ অভিযানে সাফল্য আসে অবৈধ চোলাই মত তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে আসে আবগারি দফতর।
আবগারি দফতর দাঁতন সার্কেলের ওসি হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''দাঁতন পুলিশের সহযোগিতায় আমরা দাঁতন এলাকার কাজিপাড়াতে প্রথম অভিযান শুরু করি। দাঁতনের গোলা বাজারে ঢুকে আমরা দেখি হাঁড়িতেই মদ তৈরি হচ্ছে। ওখানে কুড়ি লিটার মদ আমরা নষ্ট করি। হাঁড়িটা নিয়ে আসার সময় তিন চার জন মহিলা আমাদেরকে আটকায় করে। আমাদের কাছ থেকে মদের হাঁড়িটা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল ওরা। আমাদের সঙ্গে পুলিশ ছিল বলে আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। ৬০ লিটার চোলাই মদ।''
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, আয়কর সংক্রান্ত বেনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিন ভোরে হানা দেন তদন্তকারী অফিসাররা। গত কাল রাত সাড়ে ১২টা-১টা নাগাদ, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা দুটি দলে ভাগ হয়ে কলকাতা থেকে রওনা দেন। আলাদা গাড়িতে, ভিন্ন পথে পোলবার মদ কারখানার দিকে রওনা দেন তাঁরা। আগাগোড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন। এসেই কারখানার ভিতর চলে যায় তদন্তকারী দল। কারখানার কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে বহু মানুষ কাজ করেন। মদ তৈরি ও প্যাকেজিং হয় এই কারখানায়। আপাতত তাদের প্যাকেজিং ও বটলিং প্লান্টে রয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। ২০-২৫ জনের আয়কর আধিকারিকদের একটি দল সেই প্লান্টে এসেছেন। ভিতরে কথাবার্তা চলাকালীন পাহারায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারখানার তরফে সংস্থার দুই আধিকারিক সেখানে পৌঁছেছেন। কলকাতা ও সল্টলেকেও অ্যালপাইন ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডের দুটি রেজিস্টার্ড অফিস রয়েছে বলে খবর। তবে ঠিক কী ধরনের বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ওই কারখানার বিরুদ্ধে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।