West Midnapore News: আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বন্যার জলে তলিয়ে যান, জল কমতেই বের হল একের পর এক কঙ্কালসার চেহারা, মৃতদেহের ভিড়ে তুলসী রুইদাসও !
West Midnapore Incident: রাজ্য সড়ক পারাপার করতে গিয়ে জলস্রোতে তলিয়ে যান তুলসী, বন্যার জল কমতেই ভয়াবহ চেহারা..

সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই মৃতব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হল কৃষিজমি থেকে ! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বারাসাত গ্রামের বাসিন্দা তুলসী রুইদাস । বয়স হয়েছিল ৪২। চন্দ্রকোনা ছত্রগঞ্জে এলাকায় বাড়ি থেকে ফেরার পথে চন্দ্রকোনার পলাশচাপড়ি এলাকায় রাজ্য সড়ক পারাপার করতে গিয়ে জলস্রোতে তলিয়ে যান তুলসী। বন্যার জল কমতেই সকালে কৃষি জমি থেকে উদ্ধার তুলসীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধারের পর কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা।
চন্দ্রকোনা থেকে বন্যার জল কমতে শুরু করতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক কঙ্কালসার চেহারা। গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে চাষবাসের বেহাল ছবি। এলাকা পরিদর্শনে বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। চন্দ্রকোনা এক ও দু'নম্বর ব্লকের বেশকিছু এলাকা এখনো জলমগ্ন, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, নেই বিদ্যুৎ এলাকাতে পানীয় জলের সমস্যা ও দেখা দিয়েছে। কৃষিকাজের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকেরা। চন্দ্রকোনা দু নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধারা। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির কথা স্বীকার করলেন তিনি।
বর্ষার শুরুতেই ফিরল ঘাটালের পুরনো ছবি। জলের তলায় মহকুমার বেশিরভাগ এলাকা। অন্য়দিকে, চন্দ্রকোণা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন। নেই বিদ্যুৎ, সমস্যা শুরু হয়েছে পানীয় জল নিয়ে। বছর আসে, বছর যায়। ঘাটাল থাকে ঘাটালেই।বদলায় না এখানকার মানুষের ভোগান্তি, যন্ত্রণা। বর্ষার শুরুতেই ফিরল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিচিত ছবি। টানা বৃষ্টিতে শিলাবতীর নদীর জলস্তর বেড়ে এভাবেই ভাসছে ঘাটাল। যেদিকে দু'চোখ যায় শুধু জল আর জল। এক তলার বাড়ি থেকে দোকানপাটের বেশিরভাগটাই জলের তলায়। বাড়ি থেকে বেরোনের একমাত্র ভরসা নৌকা। শুক্রবার আত্মীয়র বাড়ি থেকে ফেরার পথে, জলের তোড় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রকোণার বাসিন্দা, ৪২ বছর বয়সি তুলসী রুইদাসকে। শনিবার এলাকায় জলস্তর কমতেই চাষের জমি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর নিথর দেহ।
জল যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তার প্রমাণ এই ছবিটি!এটা চন্দ্রোকোণা-পলাশচাপড়ি রাজ্য় স়ড়ক। জল নামতেই যার এমন কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, এর জেরে প্রায় ৫০টির বেশি গ্রামের বাসিন্দা চূড়ান্ত হয়রান হচ্ছেন।শুক্রবার ঘটনাস্থলে আসেন চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া। চন্দ্রকোণা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরূপ ধাড়া বলেন, হড়পা বান আসে। চন্দ্রকোণা ১,২ এবং আরও কিছু অংশ জলের তলায় চলে যায়। ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। এখন কয়েকটা জিপিতে জল একটি কমেছে।চন্দ্রকোণা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা এখনও জলমগ্ন, নেই বিদ্যুৎ, সমস্যাও দেখা দিয়েছে পানীয় জল নিয়েও চন্দ্রকোণার বাসিন্দা বিকাশ সামন্ত, জল জমায় কষ্ট। রাস্তাঘাট খারাপ। বিদ্য়ুৎ নেই।ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেনবিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সরকারের তরফে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রকোণা ১ এবং ২-এ জল নেমে গেছে। তবে ঘাটালে এখনও জল জমে আছে। তা ধীরে ধীরে নেমে যাবে। নতুন করে বাঁধভাঙার সম্ভাবনা নেই।।























