West Midnapore: স্থানীয় শিক্ষকের কাছে লেখাপড়া শুরু, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে না পেরে উদ্বেগে পড়ুয়ারা
West Midnapore Madhyamik Pass Students: প্রায় সাড়ে তিন মাস হতে চলল, মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র সাঁওতালি স্কুলের ২৭ জন পড়ুয়া এখনও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি।
অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলছে স্কুল (School Reopen)। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) নেকুড়সেনি হাই স্কুলের মাধ্যমিক (Madhyamik) উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা (Students) এখনও স্কুলে ভর্তি হতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছে তারা। দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (District School Inspector)। স্থানীয় শিক্ষকের কাছে বাড়িতেই পড়ছে পড়ুয়ারা।
জুলাই (July) থেকে নভেম্বর (November)- প্রায় সাড়ে তিন মাস পার হতে চলল, মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একমাত্র সাঁওতালি স্কুলের ২৭ জন পড়ুয়া এখনও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। এই পরিস্থিতিতে, পশ্চিম মেদিনীপুরের অলচিকি মাধ্যমের নেকুড়সেনি হাইস্কুলের এই পড়ুয়ারা কী করবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে।
ওই স্কুলের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়া শম্পা সিংহের কথায়, “আমরা মাধ্যমিক পাস করেছি এখনও রেজিস্ট্রেশন কিংবা ভর্তি হতে পারিনি স্কুলে। বাংলা মাধ্যমের ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে এবং অনলাইন ক্লাস করছে সেখানে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি পড়াশোনাটা।’’ দ্রুত এই ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে ভর্তি হতে পারবেন, বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভদ্র হেমব্রমের বলেন, “হায়ার সেকেন্ডারি জন্য আমরা অনুমোদন পেয়েছি। এইচএস কাউন্সিলে আমরা যাওয়ার পর আমাদের বলা হয়, হায়ার সেকেন্ডারি স্ট্রিম চালাতে গেলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক অতি অবশ্যই লাগবে। পার্টটাইম শিক্ষক দিয়ে শুরু করতে বলেছিলাম শিক্ষা দপ্তর আমাদের জানিয়ে দেন পার্ট টাইম শিক্ষক দিয়ে হবে না। আমরা স্পেশাল ক্লাস করিয়ে ঘাটতি পূরণ করার চেষ্টা করব।’’
এই বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক চাপেশ্বর সর্দারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের পারমিশনটা দেয় উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিল, যথারীতি আমাদের অর্ডার পাস হয়ে গেছে। সমস্ত ছাত্র পঠন-পাঠন করতে পারবে। ভর্তি হতে না পারলেও, আপাতত স্থানীয় এক শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Birbhum: সরকারিভাবে ধান বিক্রির লাইনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, দুবরাজপুরে পুলিশের লাঠিচার্জ