West Midnapur News: চালককে খুন করে মালবোঝাই ট্রাক ছিনতাই, গ্রেফতার ২
তিনদিন পর ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, পেশায় ট্রাক চালক বাবলু প্রজাপতি। উত্তর চব্বিশ পরগণার টিটাগড়ের বাসিন্দা।
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: খড়্গপুরের (Kharagpur) লরির চালককে খুন করে মালবোঝাই ট্রাক ছিনতাই। কলকাতা (Kolkata) থেকে গ্রেফতার মাস্টার মাইন্ড। গত ২৪ ডিসেম্বর খড়্গপুর গ্রামীণ থানার রূপনারায়ণপুর (Rupnarayanpur) এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। তিনদিন পর ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। জানা যায়, পেশায় ট্রাক চালক বাবলু প্রজাপতি। উত্তর চব্বিশ পরগণার টিটাগড়ের বাসিন্দা। পলিমার বোঝাই ট্রাক নিয়ে তিনি রওনা দিয়েছিলেন হলদিয়া থেকে মহারাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে।
মাঝরাস খুন হতে হয় তাঁকে, আর তারপরেই মালবোঝাই ট্রাক গায়েব হয়ে যায়। খুনের কিনারা করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল খড়্গপুর লোকাল থানা। অবশেষে, মঙ্গলবার রাতে সেই খুনের কিনারা হয়েছে আর খুনের 'মাস্টার মাইন্ডকে কলকাতার দমদমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩,৭,০০০০ টাকা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে খড়্গপুর আয়মার সন্দীপ জয়সওয়াল নামে এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ীকেও।
নিরঞ্জনের নামে আগেই একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কাণ্ডকারখানার অভিযোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। এই খুন আর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাকেই 'মাস্টার মাইন্ড' বলে মনে করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ ধৃতদের মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়।
সম্প্রতি কোচবিহারে ছেলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ( extra-marital affairs) জেরে বাবাকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। দিনহাটার (Dinhata) হোপদহের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। (Cooch Behar) অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ছেলের সঙ্গে প্রতিবেশীর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। জীবন দিয়ে তারই মাশুল গুনলেন বছর ৭০-র বাবা। প্রতিবেশীকে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটার হোপদহে। মৃত্যু হয় বছর সত্তরের বিনোদচন্দ্র অধিকারীর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিনোদচন্দ্রের ছোট ছেলে আবীরচন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশী সুশান্ত বর্মনের স্ত্রীর। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। রবিবার দুপুরে চরমে ওঠে পরিস্থিতি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই হোপদহ বাজারে বিনোদচন্দ্রের বড় ও মেজো ছেলের ওপর চড়াও হন সুশান্ত। তাঁরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, ধাওয়া করে বাড়িতে চলে আসেন সুশান্ত। বছর সত্তরের গৃহকর্তাকে কাছে পেয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করেন। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিনোদচন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।