Panchayat Election: কোথায় বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী? মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের
Central Force: কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে টালবাহানা? ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বৈঠক মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের।
রুমা পাল, কলকাতা: দফায় দফায় বৈঠক, কোথায় বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী? লাগামহীন সন্ত্রাস, তবুও কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে টানাপোড়েন? কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরিকল্পনার অভাব? উত্তর নেই কমিশনের কাছে ভোটের আগেই ২৩ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু, তবু কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে টালবাহানা? ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বৈঠক মুখ্যসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের।
বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালত পর্যন্ত ছুটে গিয়েছে বিরোধীরা। অবশেষে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনছে রাজ্যে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও বুথের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে, কমিশনকে তুলোধনা করল বিরোধী শিবির।
একাধিক খুন, বেলাগাম নির্বাচনী সন্ত্রাসের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীকে ব্য়বহার করা হবে এরিয়া ডমিনেশন, নাকা চেকিংয়ের কাজে। কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর ৭ দিন, কবে আসবে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী? এবার রাজ্য় সরকারের প্রশ্নের মুখে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের কত বাহিনী প্রয়োজন, কমিশন এখনও জানাতে পারেনি। এরপর সিদ্ধান্ত হলে বাহিনী দিতে সমস্যা হবে, কমিশনকে জানিয়েছে রাজ্য। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা জানিয়েছেন, যে সব জেলায় হিংসা, সংঘর্ষ এবং ভয়ের পরিবেশ রয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি সংখ্যায় মোতায়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্পর্শকাতর বুথের হিসেব এখনও জেলা থেকে আসেনি বলেই জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকবে নাকি, বুথের বাইরে তা নিয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান রাজীব সিন্হা।
পঞ্চায়েত ভোটে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই বিজ্ঞপ্তির কোথাও বলা হয়নি কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে মোতায়েন করা হবে। তার মানে কি এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না? বুথের দায়িত্বে থাকবে সেই রাজ্য পুলিশ? এভাবে কি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আদৌ সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। যে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকা চেকিং, এরিয়া ডমিনেশন, আস্থা বৃদ্ধির কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আন্তঃরাজ্য সীমানায় মোতায়েন থাকবে CAPF। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে মোবাইল ফোর্স হিসেবে কমিশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ কোনও অভিযোগ পেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে।