Ideas of India 2025: 'লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে NTA !', আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়ায় এসে কী বললেন খান স্যার ?
Khan Sir: খান স্যার স্পষ্ট বলেন, 'এত বড় একটা পরীক্ষার পরিচালন ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করে রেখে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এনটিএ।'

Khan Sir: দেশে NEET পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসকে ঘিরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শিক্ষাজগতের একাংশ, কিছুদিনের পরেই পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও। আর সেই পরীক্ষার অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জমায়েতে সামিল হয়েছিলেন বিহারের তথা ইন্টারনেটের জনপ্রিয়তম ব্যক্তিত্ব শিক্ষক খান স্যার (Khan Sir)। ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকারের জন্য বরাবর লড়াই করতে এবং প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়ায় (Ideas of India 2025) এসে এনটিএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন খান স্যার। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ, দেশে প্রশ্ন ফাঁসের মত দুর্নীতির স্পষ্ট বিরোধিতা করলেন তিনি।
বছরে একবার সারা দেশে আয়োজিত হয় নিট পরীক্ষা, ডাক্তারি পড়তে ইচ্ছুক সমস্ত প্রার্থীকে এই পরীক্ষা দিয়ে তবেই কোনো মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ মেলে। আর এই পরীক্ষাতেই এবারে প্রশ্ন ফাঁসের মত ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়াতে খান স্যারকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এত লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিট দেন, এত বড় একটা সিস্টেম, তাতে কোনো একটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি হলে পুরো সিস্টেমের উপরেই তার প্রভাব পড়ে, ফলে এই পরিস্থিতিতেই কি প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে ? খান স্যার স্পষ্ট বলেন, 'দেশের সরকার চাইছে সমস্ত কিছুই বিকেন্দ্রীভূত হোক। দেশের পরিচালন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীভূত হোক, কিন্তু এত বড় একটা পরীক্ষার পরিচালন ব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করে রেখে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে এনটিএ।
খান স্যার বলেন, 'ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষককে পিতা-মাতার মত মনে করে, তাদের ভরসা করে। শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীর সম্পর্ক আসলে অভিভাবকদের মত। আমাদের কাছে তারা সমর্পিত। নাহলে তো শুধু বেতন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলে তা ব্যবসা হবে। ফলে যখন পরীক্ষা নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়, প্রশ্ন ফাঁস হয় তখন ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের কাছেই আসে ভরসা করে, আমরা কী করতে পারি ? তাদের স্বর আরও বৃহত্তর ক্ষেত্রে পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমাদের।' নিট দুর্নীতির প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে কারণ সন্ধান করতে গিয়ে খান স্যার বলেন, 'যেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস করতে গেলে ২-৩ কোটি টাকা লাগে, সেখানে সরকারি জায়গায় প্রায় বিনামূল্যে পড়ুয়ারা এমবিবিএস করতে পারেন। ফলে একটা প্রবণতা থাকে যে ৫০ লাখ টাকা দিয়েও যদি প্রশ্ন পেয়ে আসন সুরক্ষিত করা যায়, তাহলেও অনেক টাকা বেঁচে যাবে। আর এই পরীক্ষা পরিচালনা ও মূল্যায়নও কোনও ব্যক্তির হাতে রয়েছে, তার মানবিকতা এই লোভনীয় টাকার প্রস্তাবেই নষ্ট হতে পারে, আর সেই কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন আরো বাড়ানো দরকার যাতে এমবিবিএস পড়তে কাউকে ইউক্রেন না যেতে হয় !'
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
