IPS Success Story: দু'বারের চেষ্টায় পেরোতে পারেননি প্রথম ধাপও, হাল ছাড়েননি IPS আশনা
IPS Aashna Chaudhary: তিন তিনবার পরীক্ষা দিয়ে তারপর UPSC উত্তীর্ণ হন উত্তরপ্রদেশের আশনা চৌধুরী। প্রথম দু'বার তিনি প্রিলিমসও পাশ করতে পারেননি। কিন্তু থেমে যাননি আশনা। লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি।
![IPS Success Story: দু'বারের চেষ্টায় পেরোতে পারেননি প্রথম ধাপও, হাল ছাড়েননি IPS আশনা Inspiring journey of IPS Aashna Chaudhury as how she cleared UPSC exam IPS Success Story: দু'বারের চেষ্টায় পেরোতে পারেননি প্রথম ধাপও, হাল ছাড়েননি IPS আশনা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/01/09/cc636bdb4696c48cdd8a7f0313295e451704787231966900_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
Success Story: দেশের অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি UPSC। লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইপিএস কিংবা আইএএস হওয়ার। উর্দি গায়ে পড়ে দেশসেবার কাজে নিয়োজিত হওয়ার মধ্যে যে গর্ব, তার সঙ্গে জুড়ে থাকে সাফল্যের আড়ালের সংগ্রামের ইতিহাসও। অনেকে আবার তাদের প্রচুর টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে এসেও এই পেশায় যুক্ত হতে চান আর তেমনই স্বপ্ন দেখেছিলেন আশনা। আশনা চৌধুরী (Aashna Chaudhury)। তিন তিনবার পরীক্ষা দিয়ে তারপর UPSC উত্তীর্ণ হন তিনি। ব্যর্থতায় থেমে যাননি তিনি, হেরে গিয়েছেন, হারিয়ে যাননি। জানুন তাঁর জীবনের সংগ্রামের কাহিনি।
উত্তরপ্রদেশের পিখুয়া শহরে জন্ম হয় আশনার। তাঁর বাবা একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং মা একজন গৃহকর্ত্রী হয়েও পড়াশোনা আর সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পিখুয়াতেই সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে প্রাথমিকভাবে পড়াশোনা শুরু হলেও পরে উদয়পুরে সেন্ট মেরিজ স্কুল এবং তারপরে গাজিয়াবাদে দিল্লি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন আশনা চৌধুরী (Aashna Chaudhury)। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকে ৯৬.৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন আশনা। ছাত্রী হিসেবে মেধার দিক থেকে কোনও অংশেই কম ছিলেন না তিনি।
এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য দিল্লিতে লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হন আশনা চৌধুরী। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন আশনা। এই সময়ের মধ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি প্রান্তিক দুস্থ শিশুদের সাহায্য করতেন।
২০১৯ সালে তাঁর বাবা-মা তাঁকে UPSC পরীক্ষার জন্য উৎসাহিত করেন। ২০২০ সালে সেইমত প্রথমবার পরীক্ষায় বসেন তিনি, কিন্তু প্রিলিমসও পাশ করতে পারেননি আশনা (Aashna Chaudhury)। চূড়ান্ত ব্যর্থতা গ্রাস করে তাঁকে। ২০২১ সালে ফের একবার পরীক্ষায় বসেন তিনি। কিন্তু এবারেও প্রিলিমস উত্তীর্ণ হতে পারেননি আশনা। চেপে বসে আত্মগ্লানি। আত্মবিশ্বাস ক্রমশ কমতে শুরু করে। কিন্তু, তারপরেও হাল ছাড়েননি আশনা। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে স্ট্রাটেজি সাজিয়েছেন তিনি। পরীক্ষার সিলেবাসে আরেকবার চোখ বুলিয়েছেন ভাল করে। আর কঠিন পরিশ্রম আর নিষ্ঠায় ২০২২ সালে প্রিলিমিস পাশ করে আনন্দে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আশনা। কিন্তু স্বপ্নপূরণের পথে এটা কেবল একটা ধাপ পেরনো। বাকি ছিল মেনস পরীক্ষা। সেই বছরই মেনস পরীক্ষায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১৬ র্যাঙ্ক অধিকার করে UPSC উত্তীর্ণ হন আশনা চৌধুরী। আইপিএস হিসেবে যোগ দেন তিনি।
তাঁর কথায়, 'স্বপ্নকে ছেড়ে দিও না কখনও। ব্যর্থতায় জীবন শেষ হয় না, কিন্তু তা সাফল্যের পথে একটা সিঁড়ির মত কাজ করে। নিজের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নাও, এগিয়ে চল। নিজের উপর ভরসা রাখাটা সবার আগে দরকার। আবেগ আর নিষ্ঠা দিয়ে দিনরাত কাজ করো। সাফল্য তোমার পিছু পিছু আসবেই।'
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)