Success Story: দারিদ্র্য, প্রতিকূলতা কাটিয়ে সফল IPS ! বালি মাফিয়ারাজ 'খতম' করে শিরোনামে সামান্য টাইপিস্টের মেয়ে অঞ্জনা
IPS Anjana Krishna Success Story: বছরের পর বছর পরম নিষ্ঠায় আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হন। অঞ্জনা তাঁর সর্বস্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ২০২২ সালে তিনি সফল আইপিএস হন।

IPS Anjana Krishna: মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের ছোট্ট একটি গ্রামে অঞ্জনা কৃষ্ণা নামে একজন তরুণী আইপিএস অফিসারের নাম উঠে এসেছে সংবাদের (Success Story) শিরোনামে। সাহস ও ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকারের পরীক্ষায় সফল হয়েছেন তিনি। তাঁর কাহিনি কেবলমাত্র ইউপিএসসি পরীক্ষায় (UPSC Exam) উত্তীর্ণ হওয়ার কাহিনি নয়, ক্ষমতার সামনে নিজের দার্ঢ্য বজায় রেখে লড়াইয়ে জিতে যাওয়ারও কাহিনি।
এক সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা অঞ্জনার। তাঁর মা সীনা একজন কোর্ট টাইপিস্টের কাজ করতেন আর তাঁর বাবা বিজু একটি ছোটখাটো পোশাকের (Success Story) দোকানে কাজ করতেন। তাদের সামান্য আয় সত্ত্বেও তারা তাঁর স্বপ্নপূরণে সহায়তা করেছিলেন। অঞ্জনা স্কুল ও কলেজে উচ্চতর দক্ষতা অর্জন করেছিলেন, ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার আগে তিনি গণিত নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।
বছরের পর বছর পরম নিষ্ঠায় আর কঠোর পরিশ্রমে তিনি ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হন। অঞ্জনা তাঁর সর্বস্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ২০২২ সালে তাঁর সেই কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়, আর তিনি সর্বভারতীয় স্তরে ৩৫৫ র্যাঙ্ক অর্জন করে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেন। আজ তিনি সোলাপুরে একজন ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ হিসেবে কর্মরত যেখানে তাঁর সততা ও সাহসের জন্যই তিনি সুপরিচিত।
৩১ অগাস্ট ২০২৫ তারিখে ডিএসপি অঞ্জনা কৃষ্ণা পুলিশ ও রাজস্ব আধিকারিকদের একটি দলকে সোলাপুরের কুর্দু গ্রামে অবৈধ বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিয়ে যান। তারা যখন তাদের কাজ শুরু করেন, তখন ১৫-২০ জনের একটি ভিড় জড়ো হয়ে যায় অঞ্জনার চারপাশে, তাদের এই কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা চলে। চারজন ব্যক্তি আধিকারিকদের বলপ্রয়োগ করে বাধা দিচ্ছিলেন। আর এই সময় মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অঞ্জনাকে ফোন করেন এবং কিন্তু অঞ্জনা তাঁকে শান্তভাবে তাঁর অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করার আদেশ দেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন যে এই কাজে তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এলাকার শান্তি নিশ্চিত করা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপ না করা।
এই ফোনে কথা বলার সময় অঞ্জনার শান্ত ও পেশাদার প্রতিক্রিয়া ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তিনি কিছুতেই পিছু হটেননি। তাঁর কর্তব্য চালিয়ে গিয়েছেন এবং চারজনের বিরুদ্ধে বে-আইনি সমাবেশ ও সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর উদ্যোগে।
তাঁর কাহিনি মনে করায় ক্ষমতা বা প্রভাবের থেকেও সততা ও সাহস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষায় আজ উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং আজ তিনি নিজেকে একজন নির্ভীক অফিসার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের বুকে। ছোট্ট একটা শহর থেকে আজ আইপিএস অফিসার হওয়ার এই সাফল্যমণ্ডিত যাত্রা অসংখ্য তরুণ ভারতীয়কে বড় স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















