Khan Sir: 'বাবা-মায়েরা সন্তানদের অতিরিক্ত সুরক্ষা দিয়ে দুর্বল করছেন', নতুন প্রজন্মকে শক্ত-সমর্থ করতে কী উপায় দিলেন খান স্যার ?
Khan Sir on Parenting: খান স্যার বলেন, 'এখন বেশিরভাগ সন্তানের জন্ম হলেই ২৫ রকমের ক্রিম মাখানো হয় তাঁকে। গ্রামে এখনও শিশুদের রসুন তেল মালিশ করে রোদে রেখে দেওয়া হয়, তাতেই তাদের শরীরের জোর বাড়ে।'

Parenting Tips: পাটনার এক বিখ্যাত শিক্ষক এবং জনপ্রিয় ইউটিউবার খান স্যার। তাঁর নিজস্ব শিক্ষণ প্রণালী, সহজবোধ্য ভাষায় ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আর দেশীয় বাচনভঙ্গির টানের জন্য অনেকের কাছেই অত্যন্ত আকর্ষণীয় লাগে খান স্যারের (Khan Sir) পড়ানো। কিছুদিন আগেই জাঁকজমকপূর্ণভাবে বিয়ের রিসেপশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন খান স্যার। আর তার পরে একটি সাক্ষাৎকারে এসে খান স্যার বেশ কিছু বিষয়ে দীর্ঘ আলাপচারিতা চালান। এই কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন যে এখনকার বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের অতিরিক্ত সুরক্ষার আবরণীতে মুড়ে রাখতে চান যা তাদের আদপেই ক্ষতি করছে।
এই সাক্ষাৎকারে এসে খান স্যার বলেন, 'এখনকার সন্তানদের দুঃখের অনুভূতিই দিতে চান না বাবা-মায়েরা আর তার ফলে সেই সন্তান যখন বড় হয়ে কোনও কিছুতে ব্যর্থ হয়, তাঁর টার্গেট মিস হয় কিংবা তাঁর ব্যবসায় লোকসান হয়, তখন সে আর নিজেকে সামলাতে পারে না। অবসাদের শিকার হয়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এখনকার বাবা-মায়েরা অনেকেই সন্তানদের নিয়ে বাইরে বেরোলে রোদ থেকে আগলে রাখতেও দ্বিধা বোধ করেন না। জন্মের পর থেকেই একের পর এক কার্যক্রম চলে সন্তানদের উপরে।'
তাঁর কথায়, সবথেকে ভাল স্বাস্থ্য, সুগঠিত শরীর থাকে সেনাদের, তারা কখনও বরফের মধ্যে লড়াই চালাচ্ছে, কখনও তীব্র দাবদাহে মরুভূমির মধ্যে, ঝরছে ঘাম। আর এখন বেশিরভাগ সন্তানের জন্ম হলেই ২৫ রকমের ক্রিম মাখানো হয় তাঁকে। গ্রামে এখনও শিশুদের রসুন তেল মালিশ করে রোদে রেখে দেওয়া হয়, তাতেই তাদের শরীরের জোর বাড়ে। শুধু তাই নয়, খান স্যার বলেন যে অনেকেই তাঁর সন্তানেরা যা চান তাই দিয়ে দেন, সন্তানকে ভালোবাসা খুবই ভাল, কিন্তু এর জন্য তাঁকে পঙ্গু করে দেওয়াটা একেবারেই ঠিক নয়। সন্তানদের মনে এই ধারণা গড়তে হবে যে কিছু পেতে গেলে কিছু কাজও করতে হবে।
কোটায় গিয়ে আইআইটি, নিটের প্রস্তুতি নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন। এই করুণ সত্য সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে খান স্যার বলেন যে এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা কোনও কিছুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আদপেই সেই জীবনে বেঁচে থাকার কল্পনা করে নেয়, একটা আলাদা দুনিয়া গড়ে নেয় নিজের চারপাশে আর যখন সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না, ব্যর্থতা আসে তখন তাঁর সামনে পুরো অন্ধকার। তাঁর কাছে আর কোনও পথ খোলা নেই।
এমনকী তিনি এও উল্লেখ করেন যে এখনকার বেশিরভাগ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। আগে যেখানে ৫-৭ শতাংশের এই লক্ষণ দেখা যেত, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৫ শতাংশ। অনেকেই অজান্তে বাইপোলার রোগের শিকার। কেউ ভাবছেন যে অন্যদের মধ্যে তাঁকে নিয়েই কথা হচ্ছে, কেউ আবার ভাবেন তাঁর সহধর্মিনী, বাবা-মা-ভাই-বোন তাঁকে প্রতারিত করবেন। ফলে এক দুর্বল প্রজন্মের জন্ম দিচ্ছেন বাবা-মায়েরা তাদের অতি সুরক্ষার বেষ্টনীতে রেখে।
সাক্ষাৎকার সূত্র- ANI
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















