(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Primary Teachers Recruitment: শর্তসাপেক্ষে ১৫,২৮৪ পদে নিয়োগে অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের
একদল পরীক্ষার্থীর দায়ের করা মামলা খারিজ সর্বোচ্চ আদালতে
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোটের মুখে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আরও বড় স্বস্তি রাজ্যের। শর্তসাপেক্ষে ১৫,২৮৪ পদে নিয়োগে বাধা কাটল রাজ্যের। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। একদল পরীক্ষার্থীর দায়ের করা মামলা খারিজ সর্বোচ্চ আদালতে। আগেই এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এর আগে, চলতি মাসের গোড়ায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। ২ সপ্তাহের মধ্যে মেরিট লিস্ট পর্ষদ অফিসে টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। খারিজ করা হয় সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ফেব্রুয়ারিতে যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। খারিজ করা হল সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ।
২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের যেখানে যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস রয়েছে, সেখানে পূর্ণাঙ্গ মেরিট লিস্ট যথাযথ ভাবে টাঙাতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সামনে আর কোনও বাধা রইল না।
ফেব্রুয়ারিতেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রাথমিকে ১৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে।
এরপরই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
তাঁরা অভিযোগ করেন, প্রাথমিকে যে নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, তার কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। SMS বা ফোন করে প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মামলার শুনানির পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। ডিভিসন বেঞ্চে তা খারিজ হয়ে যায়।
পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির দাবি, তারা ক্ষমতায় এলে প্রতি বছর টেট হবে।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ১৫ হাজার ২৮৪টি শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার নিয়োগ করা যাবে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI