(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Success Story: দিনমজুরের কাজে হাড়ভাঙা খাটুনি, দিনে পেতেন ৩০০ টাকা, নিট পাশ করে তাক লাগালেন কিশোর
NEET Success Story: ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটনির কাজ করেন তিনি, দিনে ৪০০ ইঁট তোলেন, সবই সংসারের খরচ চালানোর জন্য আর তারপরে নিজের পড়াশোনা চালাতে থাকেন।
NEET Success Story: ২১ বছর বয়সের এক দিনমজুর কিশোর এবার ডাক্তারির পথে। সারা দিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও অদম্য জেদে নিটে ৭২০-তে ৬৭৭ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই কিশোর। শত আর্থিক বাধা (Success Story) সত্বেও তাঁর এই প্রবল ইচ্ছা কোথাও দমে যায়নি। আর এই সাফল্যে সেই কিশোর এখন তাঁর গ্রামের সকলের কাছে অন্যতম অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত হাড়ভাঙা খাটনির কাজ করেন তিনি, দিনে ৪০০ ইঁট তোলেন, সবই সংসারের খরচ চালানোর জন্য আর তারপরে নিজের পড়াশোনা (NEET Success Story) চালাতে থাকেন। কাজ করতে করতে পড়াশোনা করা নিয়েও তাঁকে কম বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়নি। সরফরাজের এই কাহিনি প্রাণিত করবে আপনাকেও।
বিখ্যাত ইউটিউবার এবং শিক্ষক অলখ পান্ডের 'ফিজিক্সওয়ালা'র সমাজমাধ্যম প্রোফাইলে একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় প্রথম এই সরফরাজকে। প্রান্তিক গোষ্ঠীরেকজন হিসেবে কীভাবে তিনি এই সাফল্য পেলেন, সেই কথাই জানতে গিয়েছিলেন অলখ পান্ডে। তিনি সেই কিশোরকে সামনে রেখেই ভিডিয়োতে বলেন, শুধুমাত্র আর্থিক অবস্থানই দুটি পড়ুয়ার মধ্যে ব্যবধান তৈরি করে, একদিকে একজন পড়ুয়া শহরে এসি ঘরে বসে পড়াশোনা করছে আর অন্যদিকে আরেকজন পড়ুয়া নিজেদের সংসারের রোজকার খাওয়া জোটাতে রাতদিন খাটুনির পরেও পড়াশোনা করছে। সরফরাজের মানসিক জেদ, নিষ্ঠা আর যোদ্ধার মত মানসিকতাই তাঁকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে।
সরফরাজ যে বাড়িতে থাকেন তা প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হয়েছে, একটা সময় এই বাড়িতেই ছাদ ছিল না, সরফরাজের যাতে ঠান্ডা না লেগে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হত তাঁর মাকে। তাঁর সঙ্গে তারই পাশে সারা রাত শুয়ে ঘুমিয়ে নিতেন তাঁর মা, মাঝেমধ্যে উঠে দেখে নিতেন সরফরাজ ঠিক আছেন কিনা।
২০২২ সালে এনডিএতে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছেতে তিনি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারভিউর জন্য ডাক পান। কিন্তু একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণে সেই ইন্টারভিউতে তিনি পৌঁছাতে পারেননি। তারপর থেকেই জেদ চেপে যায় তাঁর মনে। কিন্তু আর্থিক অনটন তাঁকে পিছিয়ে দিচ্ছিল ক্রমশ। আর তাই তাঁর শিক্ষকের থেকে একটি ফোন ধার নিয়ে এসে তিনি প্রস্তুতির ভিডিয়ো দেখা শুরু করেন। আর মহামারির সময় সরকারি অর্থসাহায্যে একটি ফোন কিনে তিনি নিটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। আর তারপরেই খানিক ছাড়ে ফিজিক্সওয়ালার কোর্স নেন তিনি আর সেটাই তাঁর জীবনের মোড় বদলে দেয়। ২০২৪ সালে নিট উত্তীর্ণ হন তিনি এবং কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে একটি আসন অর্জন করেন।
ফিজিক্সওয়ালার পক্ষ থেকে তাঁর এই অসামান্য সাফল্যের কারণে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। সরফরাজের এই কৃতিত্বের কারণে আরও বহু পড়ুয়ার কাছে তিনি উদাহরণ হয়ে থাকবেন।
আরও পড়ুন: Recruitment News: ফুড কর্পোরেশনে উচ্চপদে চাকরির সুযোগ, মাসিক বেতন ৮০ হাজার; কত শূন্যপদ ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI