Electoral Bonds Data: ধারেকাছেও নেই বিরোধীরা, সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে BJP-ই, নয়া তথ্যেও মিলল হিসেব
BJP Electoral Bond: আবারও সবচেয়ে ধনী দলের তকমা জুড়ল বিজেপি-র নামের পাশে।
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল, কত চাঁদা পেয়েছে, রবিবার সেই সংক্রান্ত নয়া তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই তথ্য সামনে আসার পর, আবারও সবচেয়ে ধনী দলের তকমা জুড়ল বিজেপি-র নামের পাশে। ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু হওয়ার পর, নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে তারা মোট ৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে বলে জানা গিয়েছে। (Electoral Bonds Data)
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে তারা মোট ১,৩৯৭ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে। তৃতীয় স্থানাধিকারী কংগ্রেস। নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে তারা ঝুলিতে পুরেছে ১,৩৩৪ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি। তাদের প্রাপ্ত চাঁদার পরিমাণ ১,৩২২ কোটি টাকা। (BJP Electoral Bond)
ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে ৯৪৪.৫ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন এমকে স্ট্যালিনের দল DMK-র ঝুলিতে চাঁদা ঢুকেছে ৬৫৬.৫ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতাসীন জগনমোহন রেড্ডির YSR কংগ্রেস ৪৪২.৮ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে। চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি ১৮১.৩৫ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে। জনতা দল সেক্যুলার নির্বাচনী বন্ড থেকে পেয়েছে ৮৯.৭৫ কোটি টাকা। AIMIM নির্বাচনী বন্ড মারফত চাঁদা পায়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ড থেকে আরও আয়ের হদিশ, নয়া তথ্য সামনে আনল কমিশন
সমাজবাদী পার্টি চাঁদা পেয়েছে ১৪.০৫ কোটি টাকা, অকালি দল ৭.২৬ কোটি টাকা, AIADMK ৬.০৫ কোটি, ন্যাশনাল কনফারেন্স পেয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা। শিবসেনা নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়ে ৬০.৪ কোটি টাকা তোলে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল তোলে ৫৬ কোটি টাকা। CPM, BSP, AIMIM নির্বাচনী বন্ড মারফত চাঁদা পায়নি।
এখনও পর্যন্ত যে সংস্থা সবচেয়ে বেশি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে, সেটি হল ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। ১৩৬৮ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে তারা। দ্বিতীয় বৃহত্তম নির্বাচনী বন্ড ক্রেতা মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের আগে নির্বাচনী বন্ড থেকে কত চাঁদা যায় রাজনৈতিক দলগুলির কাছে, সেই তথ্য এবার সামনে আনল তারা। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের পর থেকে যত চাঁদা জমা পড়েছিল, সেই তথ্য আগেই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কমিশন । নয়া যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে রাজনৈতিক দলগুলিই বন্ধ খামে ভরে সেগুলি জমা দিয়েছিল।