Panchayat Election Opinion Poll 2023: পঞ্চায়েতের শুরু থেকে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত ছিল ?
C Voter Opinion Poll 2023 Panchayat Election: পঞ্চায়েতের শুরু থেকে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত ছিল ? কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ?
কলকাতা: পঞ্চায়েতের শুরু থেকে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো উচিত ছিল ? কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ? আর মাত্র ন'দিন পরই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। গ্রাম বাংলার ভবিষ্য়ৎ নির্ধারণ করতে, লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্য়েই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন ? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা (Opinion) চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)।
সি ভোটার সমীক্ষায় ৭৫ শতাংশ উত্তর এসেছে 'হ্যাঁ।' ২৩ শতাংশ উত্তর এসেছে 'না।' এবং ২ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন 'বলতে পারবো না।' প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পর কলকাতা পুরভোটের আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক মতামত উঠেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করানোর পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে কলকাতা পুরভোটের দোরগড়াতেও সেবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু শেষ অবধি শর্ত সাপেক্ষে রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট হবে নির্দেশ এসেছে, তখন নয়া প্রশ্ন উঠে এসেছে কোম্পানির সংখ্যা নিয়ে। যা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তোপ দাগতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়।
কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।