‘ন্যায়’ প্রকল্প দারিদ্র্যের ওপর কংগ্রেসের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’, দাবি রাহুলের

নয়াদিল্লি: দেশের হতদরিদ্র ২০ শতাংশ গৃহস্থের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে দলের প্রতিশ্রুতিকে ‘দারিদ্র্যের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করলে রাহুল গাঁধী। তাঁর মতে, একবিংশ শতাব্দীতে দেশে কারও গরিব থাকা উচিৎ নয়। এদিন গুজরাতের গঙ্গানগর জেলায় সুরাতগড়ে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের একবার নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে চোপ দাগেন কংগ্রেস সভাপতি। অভিযোগ করেন, দেশের ধনী ও শীর্ষ শিল্পপতিদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল জানান, কংগ্রেস গরিবদের সেবা করবে। প্রতিশ্রুতি দেন, ন্যূনতম আয় প্রকল্প ‘বিগ ব্যাং’ (বড় ধামাকা) হয়ে দেখা দেবে। বলেন, এটা হল ধমাকা। এই বম্ব ফাটবে। এটা দারিদ্র্যের ওপর কংগ্রেসের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। ওরা (বিজেপি) দরিদ্রদের হঠিয়ে দিয়েছে। আমরা দারিদ্র হঠিয়ে দেব। গরিবদের সহায়তা করার বিষয়ে তিনি বলেন, কীভাবে তা করা যায়, সেই নিয়ে ভাবছিলাম। অনেক বৈঠক ও আলোচনার পর আমরা ঠিক করি, প্রতিমাসে ন্যূনতম আয় ১২ হাজার টাকা হওয়া উচিৎ। শীঘ্রই, ২০১৯ সালে কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকার গঠন হওয়ার পর গোটা দেশে ন্যূনতম আয় প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা হবে। রাহুলের অভিযোগ, মোদি সরকারের আমলে দারিদ্র ও বেকারত্ব বেড়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে ১৪ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। মোদি ফের তাঁদের গরিব করে ছেড়েছেন। সোমবার, রাহুল গাঁধী ঘোষণা করেন, যদি আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করে, তাহলে দেশের গরিব পরিবারগুলিকে প্রতি বছর ৭২ হাজার টাকা কর দেওয়া হবে। এর ফলে, দেশের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। রাহুলের দাবি, একবিংশ শতাব্দীতে দেশে কারও গরিব থাকা উচিৎ নয়। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পকে ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সোমবার তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেসের ইতিহাস রয়েছে দারিদ্র্য দূরিকরণের নামে দেশের গরিব মানুষকে ‘প্রতারণা’ করার।





















