Sobhandeb Corona Update: করোনাজয়ী শোভনদেবের ‘পাওয়ার মিল’: চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছে খাওয়া-দাওয়া
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তবে ছোট থেকেই বক্সিংয়ের শখ ছিল। যখন নিয়মিত বক্সিং অনুশীলন করতেন, তখন খেতেন দুধ, দুধের সর, ছোলা ও রকমারি পুষ্টিকর খাবার। এরপর বক্সিংয়ের রিং ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পর পাল্টেছে খাদ্যাভ্যাস।
![Sobhandeb Corona Update: করোনাজয়ী শোভনদেবের ‘পাওয়ার মিল’: চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছে খাওয়া-দাওয়া Corona warrior Sobhandeb Chattopadhyay getting power meal, diet chart made by doctor Sobhandeb Corona Update: করোনাজয়ী শোভনদেবের ‘পাওয়ার মিল’: চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছে খাওয়া-দাওয়া](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/03/25/da11007fa48b09caee8ed331e4a7342a_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: পুরনো কেন্দ্র রাসবিহারী ছেড়ে এবার নিজের পাড়া ভবনীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সদ্য করোনা জয়ী বক্সার চিকিত্সদকদের আপত্তিতে সকালের রোদে প্রচারে বেরোতে পারছেন না। বেরোচ্ছেন বিকেলে। শরীর ফিট রাখতে খাদ্য তালিকাও বেঁধে দিয়েছেন চিকিত্সরকরা।
সামনে এবার রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। কয়েকদিন আগেই করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন। ফলে রাজনীতির পরিচিত রিং-য়ে ফিরতে চাইলেও বক্সারকে আটকে রেখেছেন চিকিত্সকরা। তাঁদের পরামর্শ, শরীরে একটু বল এলে তারপর না হয় ভোটের প্রচার। পুরনো আসন ছেড়ে এবার নিজের পাড়ায় প্রার্থী বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যে পাড়ায় তাঁর পূর্বপুরুষেরা দেড়শো বছর ধরে বসবাস করেছেন। পুরনো কেন্দ্র রাসবিহারী ছেড়ে এবার ভবানীপুর কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। গতবারও যে কেন্দ্র ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তবে ছোট থেকেই বক্সিংয়ের শখ ছিল। যখন নিয়মিত বক্সিং অনুশীলন করতেন, তখন খেতেন দুধ, দুধের সর, ছোলা ও রকমারি পুষ্টিকর খাবার। এরপর বক্সিংয়ের রিং ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখার পর পাল্টেছে খাদ্যাভ্যাস।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। বহু ভোটে লড়ার অভিজ্ঞতা। তবে এবারের লড়াইটা আলদা। কিন্তু চিকিত্সরকদের আপত্তিতে সকালে বেরিয়ে প্রচার করতে পারছেন না। দলের তরফেও সকালের প্রচার থেকে তাঁকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর নিত্যদিনের খাবারও বেঁধে দিয়েছেন চিকিত্সয়করা। সকালে কখনও দই দিয়ে কর্নফ্লেক্স বা দুধ-মুড়ি। দুপুরে ভাত, ডাল, একটা সব্জি। সেইসঙ্গে পাতলা মাঝের ঝোল।
বিকেলে অবশ্য বেরোচ্ছেন। কখনও কর্মীসভা। কখনও ছোট মিটিং। কখনও প্রচারের কাজ। তবে বাইরে কিছু খাচ্ছেন না। চিকিত্সওকরা নিষেধ করেছেন। রাতে বাড়ি ফিরে ভাত আর পাতলা মুরগির মাংসের স্টু। এটাই আপাতত শোভনদেবের পাওয়ার মিল।
পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত প্রধানত শর্করার প্রয়োজন মেটায়। শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডাল। সব্জিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। মাছে থাকে ভিটামিন-এ এবং অনেকটা পরিমাণে ক্যালসিয়াম। গত কয়েক বছর শোভনদেবের রুটিন ছিল, দুপুরে বাড়ি ফিরে স্ত্রী সুপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়কে খাইয়ে তারপর নিজে খাওয়া। স্ত্রী কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। তাই এখন তাঁর বাড়িতে খাওয়ার রুটিন পাল্টে গিয়েছে। ভবানীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা। একসঙ্গে রাজনীতি করা। তাই একটা বিচ্ছেদ তো বটেই।’’
পুরনো পাড়াই এবার তাঁর নির্বাচনী লড়াইয়ের রিং। সেখানে আস্তে আস্তে চেনা ছন্দে ফিরছেন তিনি।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)