Post Poll Violence:বেলেঘাটার পর ট্যাংরা, রক্তপাত জারি! মাথা ফাটল তাপস রায়ের পোলিং এজেন্টের
Election 2024: কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের পোলিং এজেন্ট রমেশ সাউয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আবির দত্ত, কলকাতা: বেলেঘাটার পর ট্যাংরা। ভোটের পরে ফের ঝরল রক্ত (Post Poll Violence)। কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের (Tapas Roy Polling Agent Hurt) পোলিং এজেন্ট রমেশ সাউয়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ভোট শেষের পর ২৮৩ নম্বর বুথ থেকেই বার হতেই তাঁকে ধাপায় তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন। বুথে বসার জন্য মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
অভিযোগ...
রমেশ সাউয়ের অভিযোগ, গত কাল, রবিবার, যখন তিনি বুথ ছেড়ে বেরোচ্ছিলেন, তখনই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে বের করে এনে ধাপার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মারধর চলে। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রমেশের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি। হামলার নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর তিনি আতঙ্কিত। গোটা ঘটনাই দলনেতাদের জানিয়েছেন তিনি। রমেশের বক্তব্য, বিষয়টি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁকে বুথের বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু যেই তিনি সেন্ট্রাল ফোর্সের নজরদারির বাইরে যান, তার পরই শুরু হয় হামলা।
ভোট পরবর্তী হিংসা...
নির্বাচনী হিংসার প্রবণতা বাংলার মানুষের কাছে অজানা নয়। শেষ পঞ্চায়েত ভোটের কথাই ধরা যাক। সে বার, স্রেফ ভোটের দিনই ১৬ জনের প্রাণ যায়। আগে-পরের সংখ্যা ধরলে আরও সেই মৃত্যুমিছিল আরও লম্বা। যদিও, এবার লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই, সব রকম অশান্তি কড়া হাতে সামলানোর অঙ্গীকার করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সত্যি কি সেই অঙ্গীকার পালন করা গিয়েছে? তাপস রায়ের পোলিং এজেন্টের উপর হামলার অভিযোগের পাশাপাশি বাংলায় নদিয়ার কালীগঞ্জে এক বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও ওঠে। দাবি, ওই কর্মীকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই নিয়ে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। পরে দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিবারের দাবি, ভোটের আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় খুন হতে হয়েছে ওই কর্মীকে। যদিও শাসক শিবির এই অভিযোগ মানেনি। পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি, পাল্টা দাবি শাসক দলের। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, জানিয়েছে পুলিশ। খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:সি ভোটার বুথফেরত সমীক্ষায় বড় চমক! এই রাজ্যে উল্টে যাবে পাশা?