TMC Infight: বিজেপি কেন এগিয়ে ওয়ার্ডে? কসবায় তৃণমূল বনাম তৃণমূল
Post Poll Violence 2024:ভোট মিটতে কসবায় এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল! ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকায় মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে
কলকাতা: ভোট মিটতে কসবায় এবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল (Kasba TMC Infight)! ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকায় মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। কেন বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি, প্রশ্ন তুলে মারধরের অভিযোগ। কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে দলেরই একাংশ।
বিশদ...
১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, খোদ দলীয় কাউন্সিলরের অনুগামীরা মারধর করেছে তাঁদের। দাবি, লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে ছিল। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কেন বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে গতকাল রাতে তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। কাঞ্চন বৈদ্য নামে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, গত কাল, শনিবার রাত এগারোটা-সাড়ে এগোরাটার মধ্যে তাঁরা শুনতে পেয়েছিলেন, নেশা করে অনেকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছে। কাঞ্চনরা বিষয়টি দেখতে গেলে তাঁদের বেধড়ক মার খেতে হয় বলে দাবি। এমনকি, তাঁর মাকেও মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। রেখা হালদার নামে আর এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, 'ফল ঘোষণার পরেই লিপিকা মান্নার ছেলেরা আসে আমাদের আওয়াজ দিতে থাকে, ছবি তুলে রাখ সকলের। নতুন ঘর তুলেছে তো? সব ভেঙে দেব। দেখে নেব।' আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা যেহেতু সুশান্ত ঘোষের অনুগামী, তাই কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছে। কাউন্সিলর অবশ্য বলছেন, 'আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ। যে দল করি, সেখানে আমার বলে কোনও ভাবনাচিন্তা করা যায় না। যাঁদের দল করছি, তাঁদের আশীর্বাদে এই ওয়ার্ডের মানুষ ভাল রয়েছেন। আর যদি কেউ এরকম করেছেন বলে আমি জানতে পারি, অবশ্য়ই পদক্ষেপ করব।'
হিংসার অভিযোগ...
এই রাজ্যে ভোটে অশান্তি-হিংসার অভিযোগ অজস্র। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কোথাও বিরোধীরা 'আক্রান্ত', কোথাও আবার শাসকদলের কর্মীদের উপরই হামলা চলেছে বলে অভিযোগ। আবার তৃণমূল বনাম তৃণমূল সংঘাতের অভিযোগও বিরল নয়। সপ্তাহদুয়েক আগে যেমন, পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর সাড়া ফেলে দেয়। সেখানে স্বয়ং তৃণমূল বিধায়কের অনুগামী অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর ছেলে সহ বেশ কয়েক জনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে, সন্দেহের তির ছিল দলের ব্লক সভাপতির অনুগামীদের দিকে। অভিযোগ, ব্লক সভাপতির অনুগামীরা রড-লাঠি নিয়ে অঞ্চল সভাপতির অনুগামীদের উপর চড়াও হয়। তবে কোনও অভিযোগই মানেননি ব্লক সভাপতি। বরং তাঁর দাবি, গ্রাম্য় বিবাদকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা।
আরও পড়ুন:'নিজে মারধর করে উল্টো দোষ চাপাতে চাইছেন সোহম', পাল্টা অভিযোগ হোটেল মালিকের