MCD Election:দিল্লি পুরনিগমের ভোটে হইহই করে জিততে চলেছে 'আম আদমি পার্টি', ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায়
AAP Is Going Sweep:দিল্লি পুরনিগমের নির্বাচনে হইহই করে জিততে চলেছে 'আম আদমি পার্টি', তেমনই ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায়। ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্য়ে অন্তত ১৪৫টি ওয়ার্ডই ঝুলিতে পুরতে চলেছে আপ, বলছে বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষা।
নয়াদিল্লি: দিল্লি পুরনিগমের (MCD) নির্বাচনে (Election) হইহই করে জিততে (win) চলেছে 'আম আদমি পার্টি' (AAP), অন্তত তেমনই ইঙ্গিত বুথফেরত সমীক্ষায় (Exit Polls)। ২৫০টি ওয়ার্ডের মধ্য়ে অন্তত ১৪৫টি ওয়ার্ডই ঝুলিতে পুরতে চলেছে আপ, জানান দিল বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষাই। আসন পুনর্বিন্যাসের (delimitation) পর এটিই প্রথম পুরভোট দিল্লিতে। তাতে ঝাড়ু-ঝড়ের আভাস মোটামুটি স্পষ্ট প্রায় সবকটি বুথফেরত সমীক্ষায়। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, সব সময় বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল নাও মিলতে পারে।
কী বলছে বুথফেরত সমীক্ষা?
'আজ তক'-র বুথফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ১৪৯-১৭১টি আসন পেতে পারে আম আদমি পার্টি। আবার 'টাইমস নাও'-র বুথফেরত সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, দিল্লি পুরনিগমের এই ভোটে ১৪৬ থেকে ১৫৬টির মতো ওয়ার্ড ঝুলিতে পুরতে পারে আপ। বিজেপির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৯-৯১-র মধ্যে রাখছে 'আজ তক'-র বুথফেরত সমীক্ষা। 'টাইমস নাও'-র সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ওই পরিসংখ্যান আবার ৮৪ থেকে ৯৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ঘোরাফেরা করার কথা। তবে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ যে মোটামুটি অব্যাহত থাকছে, এ ব্যাপারে দুটি সমীক্ষাতেই এক ছবি উঠে এসেছে। দশটির আশপাশে আসন পাওয়ার কথা শতাব্দীপ্রাচীন দলের, ইঙ্গিত দুটি সমীক্ষাতেই।
প্রেক্ষাপট...
দিল্লির ২৫০টি পুর-ওয়ার্ডের জন্য ভোটগ্রহণ হয়েছে গত রবিবার। ৫০ শতাংশ ভোট পড়ে। আগামী ৭ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের কথা। তার আগে বুথফেরত সমীক্ষা থেকে ফলাফলের একটি প্রবণতা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ভোটগণনার দিন এই প্রবণতা বজায় থাকলে, বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে। গত ১৫ বছর ধরে দিল্লির পুরনিগমের নিয়ন্ত্রণ গেরুয়াশিবিরের হাতে। এবার সেখানেও ঝাড়ু-ঝড় উঠলে শুধু রাজধানীতেই যে 'আপ'-র জমি শক্ত হবে তা নয়। চব্বিশের লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে স্বপ্ন দেখছেন, তাতেও অক্সিজেন পাবেন। পরিস্থিতি বুঝেই পুরনিগমের নির্বাচনে প্রচারে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, রাজনাথ সিংহ, নীতিন গড়কড়ি এবং পীযূষ গোয়েলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নামিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তাতে কি শেষরক্ষা হবে? বোঝা যাবে ৭ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত হতাশাজনক অবস্থায় ছিল গেরুয়া শিবির। সে দিক থেকেও এবার জমি ফেরানোর লড়াই এটি।
আরও পড়ুন:ঘড়ি, গয়না পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে নয়; TET দিতে যাওয়ার সময় আর কী কী মাথায় রাখবেন