ন্যায় ‘গেম চেঞ্জার’, মোদি গরিবদের থেকে সব ছিনিয়ে নিয়েছেন, কংগ্রেস তা ফেরত দেবে: রাহুল গাঁধী
নয়াদিল্লি: বেকারদের চাকরি, কালো টাকা দেশে ফেরানো, অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে ‘অনুদান’, এই সব আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়েই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ টু সরকারে পতন ঘটিয়ে কার্যত গেরুয়া বিপ্লব এনেছিলেন ‘চায়েওয়ালা’। মসনদের শীর্ষে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদি। পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। সামনেই সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। অতীতের চায়েওয়ালাই এখন দেশের চৌকিদার হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ দেখেছে বিমুদ্রাকরণ, জিএসটি, এয়ার স্ট্রাইক, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কাণ্ড কারখানা! সবমিলিয়ে বিজেপি ইতিমধ্যেই তাদের ‘অ্যাজেন্ডা’ জনতার দরবারে রেখে দিয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে পাল্টা চাল দিল কংগ্রেসও।
দেশের দারিদ্র-কে সমূলে উত্খাত করতে চায় কংগ্রেস। তাই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের সবথেকে প্রাচীন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করে দিল ক্ষমতায় এলে তারা ন্যূনতম উপার্জনের সুরক্ষা দেবে। ‘ন্যূনতম আয় যোজনা’ কংগ্রেসের তরফে ভারতবাসীর উদ্দেশে এই স্বপ্নের প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেসের তরফে এই পরিকল্পনাকে ছোট করে বলা হচ্ছে ‘ন্যায়’। রাহুল গাঁধীর ব্যাখ্যায়, বিজেপি সরকার এতদিন গরিব মানুষের উপর যে শোষণ চালিয়েছে তার সুযোগ্য বিচার করবে ‘ন্যায়’।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করেছেন, দেশের ২০ শতাংশ গরিব ‘ন্যায়’ দ্বারা উপকৃত হবে। ৫ কোটি পরিবারের ২৫ কোটি মানুষ এই পরিষেবা পাবে। দারিদ্র সীমার নীচে থাকা পরিবারকে মাসে ৬ হাজার, বছরে ৭২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, বিমুদ্রাকরণ ও জিএসটি-তে সাধারণ মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে তা সামাল দেওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে রাহুল বলেন, বিগত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকার দেশেরে গরিবদের থেকে কেবল শোষণই করেছে। কিছু ফেরত দেয়নি। কৃষক, ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী, বেকার যুবক এবং মা-বোনেদের সঞ্চয়ও কেড়ে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই সরকার দেশের গরিবদের থেকে যা যা ছিনিয়ে নিয়েছে, সবই ফেরত দেবে কংগ্রেস। ‘ন্যায়’-কে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেও দাবি করেছেন রাহুল।
এই সাক্ষাত্কারে কেন্দ্রীয় সরকারের জিএসটি ও বিমুদ্রাকরণের মতো সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতাও করেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই। জিএসটি, ডিমনিটাইজেশনের মতো হুটোপুটি করে কোনও সিদ্ধান্ত আমরা নেব না। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করেই ন্যায় পরিকল্পনার কথা বলেছি। এবং এটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব।” রাহুলের সংযোজন, ইউপিএ সরকার দেশের ১৪ কোটি মানুষের গরিবি দূর করেছে। সেই কাজকেই এবার শেষ করতে চায় কংগ্রেস।