Suvendu Adhikari: 'গণ্ডগোলের খবর পেলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন, কোমর ভেঙে দেব' হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
Loksabha Election 2024: বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যর হয়ে প্রচারে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: বীরভূমে ভোটপ্রচারে (Loksabha Election 2024) গিয়ে এবার কোমর ভাঙার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)। গণ্ডগোলের খবর পেলে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করার কথাও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার: এদিন শুভেন্দু বলেন, "গণ্ডগোলের খবর পেলে আমায় হোয়াটস অ্যাপ করুন। খবর পেলে এসে ১৫ মিনিটের মধ্যে কোমর ভেঙে দেব। দিনহাটায় উদয়ন গুহকেও ঘরে আটকে দিয়েছিলাম। আগে ভোট দিয়ে পরে জল খান। কেষ্টকে সতর্ক করেছিলাম, ও এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খায়। নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদি সাবধান হোন। নুরুল ইসলাম, পঞ্চায়েতে আমাদের প্রার্থী দিতে দেননি কেন, জবাব দিন। যে আইও-রা মিথ্যা মামলা করেছেন, তাঁদের ক্লোজ করব, রিটায়ারমেন্টের পর বেনিফিট পাবেন না।'
এদিন বীরভূমের সভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় যাঁরা ফাসাচ্ছেন, ক্ষমতায় এলে সেই সব পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। এদিন তিনি বলেন, 'যে পুলিশ অফিসাররা বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছেন, তাঁদের ক্লোজ করব। অবসরের পরেও সুযোগসুবিধা পাবেন না। যে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা, তাঁদের সংগ্রামী ভাতা দেওয়া হবে।' ক্ষমতায় এলে মাসে ৫ হাজার টাকা সংগ্রামী ভাতা ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতবছর রক্তস্নাত পঞ্চায়েত ভোট দেখেছে রাজ্যবাসী। অশান্তির জের শুধুমাত্র ভোটের দিনই প্রাণ হারান ১৫ জুন। আর ভোট ঘোষণা পর্ব থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসে।
- ৯ জুন: মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ।
- ১৫ জুন: ভাঙড়ে খুন তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। একই দিনে খুন হন ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লাও। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখও খুন হন। চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন সিপিএম কর্মী ২১ বছরের মনসুর আলম। ২১ জুন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
- ১৭ জুন: মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে। কোচবিহারের দিনহাটায় খুন হন শম্ভু দাস নামে এক বিজেপি কর্মী।
- ২২ জুন: পুরুলিয়ার আদ্রায় গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।
- ২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী আলিম বিশ্বাসের।
- ২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।
- ১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চে খুন হন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা।
- ৩ জুলাই: উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের।
- ৪ জুলাই: দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল সমর্থক ১৭ বছরের ইমরান হোসেনের।
- ৫ জুলাই: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী কামাল শেখের।
- ৬ জুলাই: বীরভূমের মহম্মদবাজারে নির্দল প্রার্থীর স্বামী ও বিজেপি নেতা দিলীপ মাহারাকে গুলি করে খুন করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে কংগ্রেস নেতা আলফাজুদ্দিন হালদারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
- ৭ জুলাই: মুর্শিদাবাদের রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর পঞ্চায়েতের রায়পুরে কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী বাবর আলি খুন হন। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে খুন হন তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।