Modi Swearing In:তৃণমূল না গেলেও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে পারেন খড়্গে, খবর সূত্রে
Mallikarjun Kharge:তৃণমূল না গেলেও আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির থাকতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।
নয়াদিল্লি: তৃণমূল না গেলেও আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে হাজির থাকতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে (Mallikarjun Kharge Present In Oath Taking Ceremony)। সূত্রের খবর, নিজের দল এবং জোটের বাকি শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই রাইসিনা হিলসে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
বিশদ...
গত কাল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয় রাহুল গাঁধীকে। এই নিয়ে পরে নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল, এমনই খবর সূত্রে। তবে, সনিয়া গাঁধী যে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের চেয়ারপার্সন হতে চলেছেন সে কথা নিশ্চিত। এর মধ্যেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। 'ইন্ডিয়া'জোটের শরিকদলগুলি এই অনুষ্ঠানে থাকবে কিনা, তা নিয়ে চর্চার মধ্য়ে জানা যায় তৃণমূল এই অনুষ্ঠানে থাকছে না। বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথে যোগ দিতে গতকাল ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রহ্লাদ জোশী। 'দল শপথে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেখানে কী করে যাব?', বলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে জোটের শরিকদলগুলির সঙ্গে কথা বলে কংগ্রেস সভাপতির এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি আলাদা বার্তা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।গত কাল তিন ঘণ্টার বৈঠকে দলের নির্বাচনী পারফরম্যান্স নিয়েও কাঁটাছেড়া চলেছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি, এর পরে ঠিক কী ভাবে তারা এগোবে, সেই নিয়ে একটি ভাবনা তৈরি করেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।
প্রেক্ষাপট...
আজ, সন্ধে সওয়া ৭টা নাগাদ, তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষ্যে রাইসিনা হিলসে 'সাজো সাজো' রব। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরা৷ রাইসিনা হিলসকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনিতে৷ ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একে একে পৌঁছচ্ছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর, নেপাল, ভুটান, মরিশাস প্রধানমন্ত্রী। শপথগ্রহণর পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজন করা হয়েছে নৈশভোজের।
এমনিতে, এবার টিডিপি এবং জেডি(ইউ)-র মতো শরিকদলের উপর ভরসা করে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সে দিক থেকে জোট রাজনীতির বেশ কিছু চাপ টের পেতে হচ্ছে মোদি-শাহদের, এমনই খবর গত কয়েকদিন ধরে। সব মিলিয়ে গোটা দেশের নজর রয়েছে এদিনের অনুষ্ঠানে।