Mamata Banerjee: 'কংগ্রেস নয়, অধীর বিজেপি-ম্যান', আবারও আক্রমণে মমতা
Mamata on Adhir:বহরমপুরের মানুষ অধীরকে নয়, বিজেপি-কে হারিয়েছেন, বললেন মমতা।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণা হওয়ার পরই ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে আক্রমণ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অধীরকে মমতা 'বিজেপি ম্যান' বলে উল্লেখ করলেন এদিন। বহরমপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে গিয়েছেন অধীর। মমতার দাবি, কংগ্রেস নয়, বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন অধীর। বহরমপুরের মানুষ অধীরকে নয়, বিজেপি-কে হারিয়েছেন। (Mamata Banerjee)
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে অধীরকে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "বহরমপুরে জায়ান্ট কিলার ইউসুফ পাঠান। ঔদ্ধত্য়ের জন্য় হেরেছেন। অধীরকে নয়, বিজেপি-কে হারিয়েছেন বহরমপুরের মানুষ। কংগ্রেস নয়, বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছেন অধীর।" (Mamata on Adhir)
নির্বাচনী প্রচারের সময়ও এর আগে অধীরকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। নাম না করে অধীরকে 'I.N.D.I.A জোটের গদ্দার' বলে উল্লেখ করেছিলেন। বহরমপুরের সভা থেকে মমতার বক্তব্য ছিল, "জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খেল বিজেপি। সঙ্গে আছে সিপিএম এবং তাদের দোসর, যাঁকে আপনারা ঘরের ছেলে বলতেন। সকাল সন্ধে আমাদের নিয়ে খারাপ কথা বলা ছড়া বহরমপুরে কোনও কাজ করেনি। ওঁর নাম বলতে ভাল লাগে না আমার। আমি যেমন গদ্দারের নাম বলি না, তিনিও I.N.D.I.A জোটের গদ্দার। সকালে বিজেপি-র পা ধরে, বিকেলে সিপিএম-এর আর সন্ধেয় নিজের পা ধরে। কংগ্রেসের টিকিটে জিে গিয়ে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা।"
জাতীয় স্তরে I.N.D.I.A জোটের সঙ্গে থাকার কথা বললেও, এবাররে নির্বাচনে বাংলায় একা লড়াই করেছে তৃণমূল। এর জন্যও অধীরকেই কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আসন সমঝোতার প্রশ্নে কংগ্রেস অন্যায্য দাবি করছিল বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এদিনও ফের জোট নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা। জানান, দু'টি আসন দিতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। আসন সমঝোতা করতে বলেছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি বলে অভিযোগ মমতার।
এদিন বহরমপুরে পরাজিত হয়েছেন অধীর। তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান তাঁকে ৮৫ হাজার ২৮৩ ভোটে পরাজিত করেছেন। অধীর ভোট পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯১৩টি। ইউসুফের পেয়েঠেন ৫ ল৭ ২৩ হাজার ১৯৬। ফলাফল বেরনোর পর এদিন অধীর আক্ষেপ করে বলেন, "আমি হিন্দুও হতে পারিনি। মুসলিমও হতে পারিনি। মাঝে পড়ে স্যান্ডউইচ হয়েছি।" বাংলার রাজনীতি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।