Panchayat Election: চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলি! কাঠগড়ায় তৃণমূল
North Dinajpur: চোপড়ার লালবাজার থেকে একসঙ্গে মিছিল করে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীরা।
সুদীপ চক্রবর্তী: উত্তর দিনাজপুর: মনোনয়ন পর্বের শেষদিনে উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। চোপড়ার কাঁঠালবেড়িয়ায় বাম-কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ। বাম-কংগ্রেস প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে পুলিশ।
মনোনয়ন কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে তাঁদের উপর হামলা বলে অভিযোগ। জখমদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সিপিএমের দাবি ২ জন মারা গিয়েছেন। কংগ্রেসেরও দাবি ২ জন মারা গিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন সিপিএম, একজন কংগ্রেসের। যদিও পুলিশের দাবি কেউ মারা যাননি। একজন ভীষণ আশঙ্কাজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
বাম-কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে গতকাল পর্যন্ত তাদের প্রার্থীরা মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি। এদিন চোপড়ার লালবাজার থেকে একসঙ্গে মিছিল করে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএম প্রার্থীরা।
এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ২ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
ঘটনার সময় কোনও পুলিশ ছিল না এলাকায়। ঘটনার পরে পুলিশ আসে। বিডিও অফিস পৌঁছনোর কয়েক কিলোমিটার আগেই এই গুলি-হামলার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। এক আহতের অভিযোগ, 'আমরা মিছিল করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ওরা, তৃণমূলের লোকেরা এসে গুলি চালায়। আমাদের অনেকে আহত। বড় বড় বন্দুক দিয়ে মারধর করেছে।'
বারাসাত দু-নম্বর ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে বাম প্রার্থীদের বাধা। কলুপাড়ার কাছে বাস ভাঙচুর ও বাম প্রার্থীদেরকে মারধর। মনোনয়ন পর্বের শুরুর দিনে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে। মনোনয়ন পর্বের গোটাটাই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের ছবি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের কাজ করানো হবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রের কাছে রিকুইজিশন পাঠানোর কথা রাজ্যের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেটা পাঠানো হয়নি বলে খবর।
গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা সলিল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, 'একটা অসহনীয় নীরবতার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কাজ করে চলেছে। কোনও হেলদোল নেই।' চোপড়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। রাজ্য প্রশাসনকেই নিশানা অধীরের। 'দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।' গোটা ঘটনায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং শাসক দলকে নিশানা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: একের বেশি ফর্ম ১৬ থাকলে কীভাবে ফাইল করবেন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ? রইল সহজ সমাধান