Panchayat Election Result: পঞ্চায়েত ভোটেও নন্দীগ্রামে ফুটছে পদ্ম, শুভেন্দুর বুথেও জয়ী বিজেপি
Nandigram Panchayat Result:২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। এবার সেখানে একাধিক পঞ্চায়েতে জয়ী বিজেপি
নন্দীগ্রাম: পশ্চিমবঙ্গের জমি আন্দোলনের খাসতালুক। রাজ্যের বিধানসভায় পালাবদলের জন্য যে যে ঘটনা অনুঘটকের কাজ করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন। সিঙ্গুরকে বাদ দিলে ওই আন্দোলনের ভিতের উপরে দাঁড়িয়েই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। এখনও গ্রামীন এলাকায় তৃণমূলের যে শক্ত ঘাঁটি তার জন্য অনেকটাই দায়ী জমি আন্দোলনের ইতিহাস। তারপর হলদি দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সংগঠন তৈরির মূল কারিগর শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপির নেতা, তিনিই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দলবদলের পরে এটাই নন্দীগ্রামে প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাতেই এখনও পর্যন্ত চমকপ্রদ ফল করল বিজেপি।
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। সেবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতই গিয়েছিল তৃণমূল দখলে। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বাকি ৭ পঞ্চায়েতও ছিল তৃণমূলেরই দখলে। এবার ছবিটা অনেকটাই বদলে গেল, অন্তত দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে নন্দীগ্রামে একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩টি বিজেপির দখলে। তার মধ্যে রয়েছে ভেকুটিয়া, হরিপুর ও নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বয়াল ১, ২ এবং খোদামবাড়ি ২ নম্বর পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এসেছে। এর মধ্যে বয়াল ১ -এ মোট আসন ১৩টি। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৮টি আসন, তৃণমূল পেয়েছে ৫টি আসন। বয়াল ২ -এ মোট আসন ১৬টি। তার মধ্যে বিজেপি ৯টি জিতেছে, তৃণমূল জিতেছে ৭টি। অন্যদিকে খোদামবাড়ি ২ -এ মোট আসন রয়েছে ১৭টি। তার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন, তৃণমূল পেয়েছে ৫টি আসন।
শুভেন্দু অধিকারীর নিজের ভোটকেন্দ্র নন্দী নন্দনায়কবাড়ে। সেখানেও নন্দনায়কবাড়ের ৭৭ নম্বর বুথে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী রুম্পা দাস।
পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই, নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট বিজেপির কাছে প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম আসনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন। যদিও সেই ভোটগণনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ করে তৃণমূল। পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীও প্রায়শই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর কথা তুলে কটাক্ষ করেন। ফলে পঞ্চায়েত ভোটে, যেখানে গ্রাম বাংলার জনমতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে, সেখানেই জয় পাওয়া বিজেপির কাছে প্রয়োজন ছিল। বিকেল পর্যন্ত যা ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে বিজেপির মুখে হাসি আনার জন্য অনেকটাই।
আরও পড়ুন: 'বাংলায় নির্বাচনে রক্তের হোলি খেলা বন্ধ হোক', হুমায়ুন, চিরঞ্জিতের পর এবার সরব মদন মিত্র