Arabul Islam : 'বলছি তো পরে বলব, যান তো' উত্তপ্ত ভাঙড় নিয়ে এবিপি আনন্দর-র প্রশ্নে মেজাজ হারালেন আরাবুল
Panchayat Election : তৃণমূল নেতার সমর্থকরা ঘিরে ধরেন ক্যামেরা। ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়।
প্রকাশ সিনহা, ভাঙড় : পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে সকাল থেকেই রণক্ষেত্র ভাঙড়। বোমা, গুলি থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ। কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। আর তাই নিয়েই আরাবুল ইসলামকে কাছে প্রশ্ন করতে গেলে কার্যত তেড়ে গেলেন তাঁর সমর্থকরা। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা মেজাজ হারিয়ে সরিয়ে দিলেন এবিপি আনন্দর-র বুম। ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কখন ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাওয়া হয়েছিল। যার উত্তরেই মেজাজ হারান আরাবুল হোসেন।
রেগে গিয়ে আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) বলেন, 'আপনি বাজে কথা বলার চেষ্টা করছেন কেন ? যান না বলছি তো পরে বলব...' যারপরই এবিপি আনন্দর-র বুম সরিয়ে দেন তিনি। যার পরই তৃণমূল নেতার সমর্থকরা ঘিরে ধরেন ক্যামেরা। ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, আইএসএফের মনোনয়ন ঘিরে ফের রণক্ষেত্র ভাঙড়, গুলি-বোমা! আইএসএফের পর এবার অশান্তির ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মী।মনোনয়ন দিতে এসে বিডিও অফিসের কাছেই গুলিবিদ্ধ আইএসএফ প্রার্থী। নামেই পুলিশ, আইএসএফ নেতা-কর্মীদের ঘিরে তৃণমূলের তাণ্ডব।
দফায় দফায় গুলি, বোমা, পুলিশের এক এসআই-ও আহত । পুলিশের সামনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, অভিযোগ নৌশাদ সিদ্দিকির।নামেই ১৪৪ ধারা! পুলিশের সামনেই ভাঙড়ে বোমা, গুলির তাণ্ডব!
আরও পড়ুন- উত্তপ্ত ভাঙড়ে আরাবুলের ছেলের গাড়িতে উদ্ধার তাজা বোমা
মনোনয়ন ঘিরে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। বিডিও অফিসের কাছেই বিজয়গঞ্জ বাজারে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ল বোমা। শতাধিক বোমা ও ৭ রাউন্ড গুলিও চলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ এক আইএসএফ প্রার্থী। বোমার স্প্লিন্টারে বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী আহত হন। পুলিশকে লক্ষ্য করেও বোমাবাজি ও ইটবৃষ্টি হয়। বোমার মুখে পিছু হঠে পুলিশ। কাশীপুর থানার আহত এসআইয়ের দাবি, আইএসএফ কর্মীরা কাচের বোতল ছোড়ে।
আইএসএফ প্রার্থীদের লাথি মারতে দেখা যায় পুলিশকে। লাঠিচার্জ করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।
আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, মনোনয়ন আটকাতে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি শুরু করে তৃণমূলের দুষকৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, বোমাবাজির খবর দিতে আসায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। বোমা বাঁধার সময় আটক, দাবি পুলিশের। ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির দাবি, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন আটকাতেই তৃণমূল হামলা চালায়। ভাঙড়ের ঘটনায় জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।