Panchayat Elections 2023: সামশেরগঞ্জে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতার দুই TMC কর্মী
TMC Worker Arrested in Samsherganj Shootout Case: সামশেরগঞ্জে গুলিকাণ্ডে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট। আর তার আগেই হিংসা ঘটনা অব্যহত। অশান্তির ঘটনায় যবনিকা না পড়লেও সামশেরগঞ্জে গুলিকাণ্ডে (Samsherganj Shootout Case) এবার দুই তৃণমূল কর্মীকে (TMC Worker) গ্রেফতার করল পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর ভাইও।
রবিবার রাতে সামশেরগঞ্জের তিনপাকুরিয়া বাবুপুরে এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন কংগ্রেস কর্মী আরিফ শেখ (Congress Worker)। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কের দিকে। তারপরেই কার্যত উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। এই ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সামশেরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে আকবর আলি ও হাসিবুল সেখ নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)। পুলিশ সূত্রে খবর, আকবর আলি এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ভাই। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে (Court) পাঠিয়েছে পুলিশ।
মূলত রবিবার সামশেরগঞ্জে তৃণমূল বিধায়কের সামনেই গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। রাস্তা অবরোধ করে তারা প্রতিবাদেও নামে। এদিকে ওই দিন সামসেরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার ছিল তৃণমূলের। সেইসময়ই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। বাবুপুর অঞ্চলে গুলি চলে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়েছে। এরপর কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। যদিও কংগ্রেসের দাবি, বিধায়কের নের্তৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ঘটনাই মোড় নিয়েছে গুলিবর্ষণের দিকে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ি, তা নিয়ে প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যেই এবার গ্রেফতার হলেন দুই তৃণমূল কর্মী।
তবে গ্রেফতারের আগেই কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল বিপ্লব সরাসরি আমিরুলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। আমিরুলের দাবি ছিল, আমার গাড়িতেই হামলা চালানো হয়েছিল। এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেসই। নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে, অশান্তি বাড়ছে। আমি কোনও দুষ্কৃতী নই, অস্ত্র নিয়েও ঘুরি না। আমাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল, বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা অব্যহত। কোথাও মুড়ি মুড়কির মত বোমাবাজি, কোথাও বেধড়ক মার, প্রার্থীর বাড়ি অবধিও পৌঁছেছে হামলা। আর এমন অবস্থার মাঝেই রাজনৈতিক ময়দানে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে জোর লড়াই চলছে। প্রায় প্রতিটা দলই কমবেশি একে-অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে, তুলছে অশান্তির অভিযোগ। তবে এবার মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন খোদ শাসকদলের কর্মীরাই।