Election Commissioner Resigns:লোকসভা ভোটের মুখে ইস্তফা নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েলের
Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটের মুখে ইস্তফা দিলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল। সূত্রের খবর, তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মুখে ইস্তফা দিলেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল (election commissioner resignation)। সূত্রের খবর, তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অর্থাৎ এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়াল ২। অর্থাৎ সোজা কথায়, এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ছাড়া আর কেউ রইলেন না।
বিশদ...
কার্যত কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। ঠিক সেই সময়ে অরুণ গোয়েলের এমন সিদ্ধান্ত কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল জানাচ্ছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ওই পদে মেয়াদ ছিল তাঁর। পঞ্জাব ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অরুণ ২০২২ সালের নভেম্বরে পদের ভার সামলেছিলেন। তবে তাঁর নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ছিল। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস নামে এক স্বাধীন সংস্থা এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আজকের পর দিল্লির অলিন্দে একটাই জল্পনা, ঠিক কেন সময়ের আগে ইস্তফা দিলেন অরুণ? বিশেষত, যখন কানাঘুষো নানা মহল থেকে খবর আসছে যে খুব শীঘ্র লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে, তখনই পদত্যাগের সময় বেছে নিলেন কেন তিনি? বিষয়টি নিয়ে এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাকেল গোখলে।
In a sudden move, Election Commissioner Arun Goel has abruptly resigned.
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) March 9, 2024
The post of the other EC is vacant.
That leaves the Election Commission now with just 1 Chief Election Commissioner.
Modi Govt has introduced a new law where Election Commissioners will now be… pic.twitter.com/bCcPRgDHPr
লিখেছেন, '...মোদি সরকার এখন একটা একটা নতুন আইন এনেছে। সেই আইনের ফলে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁরই চয়ন করা এক মন্ত্রীর ভোটে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা যাবে। সুতরাং, এদিনের ইস্তফার পর, লোকসভা ভোটের আগে, ৩ জন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে ২ জনকে নিয়োগ করবেন মোদি। ভীষণ ভীষণ উদ্বেগের বিষয়।'
প্রেক্ষাপট...
১৯৮৫-র ব্যাচের আইএএস অফিসার অরুণ গোয়েল ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন। তার ঠিক পরদিনই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ হয় তাঁর। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে মামলাও হয়েছিল। শীর্ষ আদালতও সরকারের কাছে জানতে যায়, এই নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করার কী এমন ঘটেছিল? ইস্তফার ক্ষেত্রেও প্রশ্নটা খানিক একই রকম রয়ে গেল, বলছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন:প্রকাশ্য সভায় মোদিকে ‘অপয়া’, ‘পকেটমার’ বলে কটাক্ষ! রাহুলকে সতর্ক করল কমিশন