West Bengal Election 2021: দেওয়াল লিখলেন অদিতি, সায়নীর মুখে ‘খেলা হবে’
দেওয়াল লিখন থেকে কর্মিসভা। রবিবাসরীয় প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দুদিনের মধ্যেই জোরকদমে প্রচারে নামলেন অদিতি মুন্সি, সায়নী ঘোষ, জুন মাল্য, রাজ চক্রবর্তীরা।
বার্নপুর: দেওয়াল লিখন থেকে কর্মিসভা। রবিবাসরীয় প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দুদিনের মধ্যেই জোরকদমে প্রচারে নামলেন অদিতি মুন্সি, সায়নী ঘোষ, জুন মাল্য, রাজ চক্রবর্তীরা।
ভোটের দিন ঘোষণার পর নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের মাধ্যমে বাংলায় প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিকে, পদ্ম শিবিরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। ভোটের টিকিট পাওয়ার দুদিনের মাথায় প্রথম রবিবার থেকেই প্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থীরা। রবিবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণপাড়ায় দেওয়াল লেখেন রাজারহাট-গোপালপুরের প্রার্থী তথা সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
অন্যদিকে, এদিন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বার্নপুরে পৌঁছন তৃণমূলের আরেক তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। সেখানে কর্মিসভায় তাঁর মুখে ছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। প্রচারে নামার আগে দুর্গাপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন সায়নী। পাশাপাশি, ভোটের প্রচারে নামতে এদিনই মেদিনীপুর শহরে পৌঁছন জুন মাল্য। এখানকার প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক মৃগেন মাইতির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি শুরু করেন জনসংযোগ। পরে পটনাবাজারে মেদিনীপুর শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের বাড়িতে কর্মিসভায় যোগ দেন তিনি। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীও। তিনি ক্রিকেট খেলেন।
রবিবারই ব্রিগেডে জনসভা করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে বাংলায় যে বিকাশ ঘটবে, তাতে পরবর্তী ২৫ বছরের ভিত তৈরি হবে। বাংলার উন্নয়নের কথা ভেবে ভোট দিন। ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার ১০০তম পূর্তিতে বাংলা ফের দেশের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করবে। মাছ হোক বা ভাত, বন্দর হোক বা বাণিজ্য, বাংলার মাটিতে সবকিছু রয়েছে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। আমাদের এনডিএ সরকার সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোবে। কলকাতা সিটি অব জয়। কলকাতার কাছে সমৃদ্ধশালী অতীত এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ রয়েছে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে তাকে ভবিষ্যতের শহর বানানোর সামনে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই।