WB Election 2021: ২০১৬-র তুলনায় মমতার সম্পত্তি কমেছে ৪৫ শতাংশ, শুভেন্দুর বেড়েছে ৬৮ শতাংশ
কমিশনের দেওয়া তথ্য প্রকাশ করেছে ‘ইলেকশন ওয়াচ’, আর কী কী রয়েছে তাতে, দেখুন
সমিত সেনগুপ্ত: শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে নীলবাড়ি দখলের লড়াই। এরপর দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার।
তার আগে দ্বিতীয় দফার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, কত পরিমাণ সম্পত্তির মালিক, সেই সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম বা দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সংস্কারের জন্য কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘ইলেকশন ওয়াচ’। তাদের দাবি, সব তথ্যই নেওয়া হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের থেকে।
কী রয়েছে তাতে?
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে চার জেলার ৩০টি আসনে ভোট হবে। ইলেকশন ওয়াচ নামের সংস্থাটি জানাচ্ছে, মোট ১৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ১৭১ প্রার্থীর মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
এবার বিধানসভা ভোটের এপি সেন্টার নন্দীগ্রাম। ইলেকশন ওয়াচ বলছে, নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০১৬-র তুলনায় সম্পত্তি কমেছে ৪৫.০৮ শতাংশ।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সম্পত্তি বেড়েছে ৬৮.৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় দফার ভোটে রাজ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ২৬।
ইলেকশন ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের তুলনায় যেসব প্রার্থীর সম্পদ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন,
পাঁশকুড়া পূর্বের সিপিএম প্রার্থী ইব্রাহিম আলি শেখ। তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ২১৪১.৪৮%। কাকদ্বীপ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মন্টুরাম পাখিরার সম্পত্তি বেড়েছে ৭৩৫.৯৫%। তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ ৬৪২.৬৪%।
প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও নানা তথ্য দিয়েছে এই সংস্থা। দ্বিতীয় দফার ১৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৩ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে। ১০১ জন স্নাতক বা তার বেশি পড়াশোনা করেছেন।
৪ জন প্রার্থী শুধুমাত্র স্বাক্ষর। আর ১৭১ জনের মধ্যে একজন নিরক্ষর প্রার্থীও রয়েছেন।