Panchayat Poll Violence : কোচবিহারে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে গুলি করে খুন
শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি করে খুনের অভিযোগ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayat Poll 2023 ) আগের দিন থেকেই দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছিল কোচবিহার ( Cooch Behar ) । বিভিন্ন জায়াগায় বোমা-গুলির রমরমা থেকে কোথাও আক্রান্ত বিরোধীরা, কোথাও আবার তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর। এখানেই থেমে রইল না। ভোটের দিন সকালে প্রাণ গেল পোলিং এজেন্টের।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি করে খুনের অভিযোগ
কোচবিহারে ফের ভোটের বলি হলে এক রাজনৈতিক কর্মী । কোচবিহারের ফলিমারিতে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে গুলি করে খুন করা হল। প্রাণ গেল বিজেপির পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসের। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল।
অশান্তির 'হটস্পট' কোচবিহার!
মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্তির এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে কোচবিহার! দিনহাটার কালমাটিতে বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় চলে গুলি-বোমা। গুলিবিদ্ধ হন ৩ বিজেপি কর্মী। মাথা ফাটে আরও এক বিজেপি কর্মীর। আর ঠিক তার পরেরদিন প্রাণই চলে গেল বিজেপির পোলিং এজেন্টের।
দিনহাটায় বুথ তছনছ
এখানেই শেষ নয়। ভোট শুরুর আগে দিনহাটায় বুথ তছনছ করে দেওয়া হয়। মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় ব্যালট পেপার। অভিযোগ, রাত আড়াইটে নাগাদ বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষকৃতীরা। ব্যালট বক্স ভেঙে মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে কীভাবে তাণ্ডব চলল? কারা তাণ্ডব চালাল? ভোট আদৌ শুরু করা যাবে? মুখে কুলুপ প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
শনিবার ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর আগে থেকেই এই অবস্থা দেখে শিউরে উঠছেন অনেকে।
শুধু কোচবিহার নয় ভোটের দিন বাংলার দিকে দিকে চলছে সন্ত্রাস। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে ভোট-সন্ত্রাসে প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। আর ভোটের দিন শনিবার সকালেও জেলায় জেলায় যাচ্ছে প্রাণ।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট হোক কিংবা এবারের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব....রক্তপাত, প্রাণহানি....বীভৎস একাধিক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ২০২৩ ও তার ব্যতিক্রম হল না।
পঞ্চায়েত ভোট এক নজরে
আজ পঞ্চায়েত ভোট। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মোট ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ । পঞ্চায়েত ভোটের জন্য় লেহ্ থেকে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ফর্মুলা মেনেই মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী।ন স্পর্শকাতর বুথগুলিকে অগ্রাধিকার। স্ট্রং রুমে মোতায়েন ১ কোম্পানি বাহিনী। সবচেয়ে বেশি ৪৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন মুর্শিদাবাদে। উত্তর ২৪ পরগনায় মোতায়েন ৩৫ কোম্পানি। আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। অন্য়দিকে, ভোটকর্মীদের জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। সব জেলাকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
আরও পড়ুন :
আজ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মোট ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোটগ্রহণ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial