Abhishek Chatterjee Demise: 'শ্যুটিং দেখব বলে মিঠুদার কাছে আমায় রেখে যেতেন বাবা'
প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, নিজের প্রতিভাতেই জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র প্রচারে এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কথাতে ফিরে এল অভিষেক-কথা।
কলকাতা: নতুন ছবির প্রচারে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু কেমন আছেন প্রশ্নের উত্তরেই ঘনিয়ে এল মনখারাপের কথা। আজ সকাল থেকেই মনখারাপ টলিউডের। প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, নিজের প্রতিভাতেই জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। টলিউডের একাধিক তারকার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাঁর সঙ্গে। 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র প্রচারে এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কথাতে ফিরে এল অভিষেক-কথা।
'মিঠুদার কাছে শ্যুটিং দেখতে রেখে যেতেন বাবা'
ছোটবেলা থেকেই অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। শাশ্বত বলছেন, 'ভীষণ মজা করে জীবনটাকে বাঁচতে ভালোবাসতেন মিঠুদা। শ্যুটিং ফ্লোরে অনেক সময় ওনার কাছে আমায় রেখে চলে যেতেন বাবা। হয়তো বাবার প্যাক আপ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার বায়না রাতে শ্যুটিং দেখব। মিঠুদার দায়িত্বে আমায় রেখে ফিরে যেতেন বাবা। আড্ডা দিতে ভীষণ ভালোবাসতেন মিঠুদা। একটা দারুণ দল ছিল বন্ধুবান্ধবদের। সেখানে অনেকটা সময় কাটাতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সেই দলটা ভেঙে যায়। যাই হোক, আমি অল্পবয়সে দেখা ওই হাসিমুখের মিঠুদাকেই মনে রাখতে চাই চিরকাল।'
কথায় কথায় অভিনেতা জানালেন, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতেন না অভিষেক। খাদ্যরসিক ছিলেন। সবসময় বলতেন, 'আমার কিছু হবে না।' সহকর্মী, অগ্রজের চলে যাওয়ায় আজ মনখারাপ সবারই।
'বাংলা ছবিতে অনেক অবদান রয়েছে'
কেবল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় নয়, অভিষেকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। টেলিফোনে শোকজ্ঞাপন করে তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শোকবিহ্বল অভিনেত্রী বলেন, "সকালেই খবরটা পেলাম। কিন্তু সত্যিই বিশ্বাস করতে পারিনি। বারবার বলছিলাম খবরটা সত্যি কি না। অভিষেক আমাদের চট্টোপাধ্যায় আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন অন্যতম অভিনেতা। বাংলা ছবিতে অনেক অনেক অবদান রয়েছে। আমাদের সকলের ওঁকে সম্মানের সঙ্গে মনে রাখা উচিত। যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আমার জীবনে কিছু শ্রেষ্ঠ ছবি ওঁর সঙ্গে করা। সুজন সখী থেকে লাঠি আরও অনেক। গুনে শেষ করতে পারব না। অনেক অনেক কাজ করেছি একসঙ্গে। একজন সরল মানুষ, পরোপকারী, সেটে খুব মজা করত, আমাদের জন্য রান্না করে নিজে খাওয়ার নিয়ে আসতেন।"