প্রথম ছবিতে প্রেম, সিক্যুয়েল চলাকালীনই বিয়ে সারলেন মানালি-অভিমন্যু
গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল সালোয়ার কামিজে ছবি পোস্ট করেন ‘গোত্র’ ছবির নায়িকা মানালি দে, সঙ্গে চিত্রনাট্যকার অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ক্যাপশনে লেখা ছোট্ট একটা শব্দ, ‘রেজিস্টার্ড’। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কমেন্টবক্স উপচে পড়ে শুভেচ্ছাবার্তায়।
কলকাতা: প্রথম ছবিতে প্রেমের শুরু, তারপর সিক্যুয়েলে বিয়ে! মানালি আর অভিমন্যুর প্রেমের গল্পটা এক্কেবারে ছবির মতো সরল, সুন্দর। গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাল সালোয়ার কামিজে ছবি পোস্ট করেন ‘গোত্র’ ছবির নায়িকা মানালি দে, সঙ্গে চিত্রনাট্যকার অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। ক্যাপশনে লেখা ছোট্ট একটা শব্দ, ‘রেজিস্টার্ড’। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কমেন্টবক্স উপচে পড়ে শুভেচ্ছাবার্তায়।
লকডাউনের মধ্যেই আইনি বিয়ে সেরে ফেললেন মানালি-অভিমন্যু। প্রেমের সম্পর্কের কথা গোপন করেননি কোনওদিন। তবে সবার অলক্ষ্যে বিয়ের সিদ্ধান্ত কেন? একটা স্বাক্ষরে কতটা বদলাল মানালি আর অভিমন্যুর সম্পর্ক? এবিপি আনন্দকে মোবাইল ফোনে বিয়ের গল্প শোনালেন মানালি।
আইনি বিয়ের পরিকল্পনা ছিল জুলাইতেই, কোর্টে পাঠানো হয়েছিল নোটিশও। করা হয়েছিল বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনাও। কিন্তু বাধ সাধল করোনা। মোবাইলের ওপার থেকে মানালি বললেন, ‘অভিমন্যুর দাদা, মা সবাই লকডাউনে মুম্বইতে আটকে। ওদিকে আমার বাড়িতে ভাদ্রমাস মানে। তাই শুধু রেজিস্ট্রিই করে নিলাম। নিজেদের মধ্যে খাওয়া দাওয়া হল, আড্ডা দিলাম। তারপর অভিমন্যু নিজের বাড়িতে, আমি আমার! যখন ওর মা আসবে, তবে ধীরেসুস্থে শ্বশুরবাড়ি যাব।’
সামাজিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান কবে করছেন? মানালির সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমাদের মন্ত্র পড়ে বিয়ে করার প্ল্যানিং কোনওদিনই ছিল না। আমাদের কাছে আইনি বিয়েটাই প্রধান। আর এখন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড় অনুষ্ঠান করাও যাবে না। তবে হ্যাঁ, যেদিন ওর বাড়ি যাব, শাড়ি পড়ে যাব। কাল তো একদম সাজগোজ করা হয়নি!’ কথাটা বলেই হেসে ফেললেন জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘নকশী কাঁথা’র ‘শবনম’।
তিন বছরের প্রেম, তারপর আইনি বিয়ে। গতকালই সামাজিক স্বীকৃতি পেয়েছে মানালি-অভিমন্যুর সম্পর্ক। কিন্তু আদৌ কি বদলালো এই জুটির মানসিক বন্ধন? মানালি বলছেন, ‘আমরা দুজনে এত ভালো বন্ধু যে, কোনওদিন নিজেদের প্রেমিক-প্রেমিকা বলে মনেই হয়নি। আমরা এখনও বুঝতেই পারছি না যে, আমাদের রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে। আমি জানি অভিমন্যু যেমন আমার বন্ধু আছে, তেমনই থাকবে। এই বন্ডিংটা বদলাবে বলে আমার মনে হয় না।’
কেবল জীবন নয়, মানালির কেরিয়ারেও জড়িয়ে রয়েছেন অভিমন্যু। কাজের প্রসঙ্গ আসতেই মানালি উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘খুব অদ্ভুতভাবে আমাদের প্রেমের গল্পটা নিমকি ফুলকি সিনেমাটার সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। নিমকি ফুলকি পার্ট ১ থেকেই আমার আর অভিমন্যুর প্রেম শুরু। আর নিমকি ফুলকি পার্ট ২-র শ্যুটিং চলাকলীনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। এছাড়াও কিছু নতুন ছবির কথা চলছে।’
অভিমন্যুকে এতদিন প্রেমিক বা বন্ধু হিসেবেই চিনেছেন মানালি। স্বামী হিসাবে অভিমন্যুর থেকে কী কী প্রত্যাশা রয়েছে? সামান্য ভেবে মানালি বললেন, ‘কিচ্ছু চাই না। ও যেমন আমার বন্ধু তেমনই থাকুক, যেন আমার বর না হয়ে ওঠে। বদলে না যায়। সামাজিক সম্পর্ককে মাথায় রাখলেই অনেক ভাবনাচিন্তা করতে হয়। বন্ধুর থেকে ভালো কেউ আমাদের বোঝে না। আমাদের মধ্যে যেন সেই বন্ধুত্বটাই অপরিবর্তিত থাকে।’