'Adipurush': প্রথম সপ্তাহান্তের শেষে বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটির গণ্ডি পার 'আদিপুরুষ' ছবির
'Adipurush' Box Office Collection: ১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে 'আদিপুরুষ'। প্রথম সপ্তাহান্ত কেটে গেছে। একাধিক ট্রেড অ্যানালিস্টদের হিসেব অনুযায়ী, ছবিটি প্রথম তিন দিনের শেষে ১২৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ভারতে।
নয়াদিল্লি: ওম রাউত (Om Raut) পরিচালিত 'আদিপুরুষ' (Adipurush) মুক্তি পেয়েছে গত ১৬ জুন। মুক্তির দিন থেকেই একাধিক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে এই ছবি। বক্স অফিসে আয়ের (Box Office Collection) নিরিখে কোন স্থানে দাঁড়িয়ে প্রভাস (Prabhas), কৃতী শ্যানন (Kriti Sanon) অভিনীত এই ছবি?
'আদিপুরুষ' ছবির বক্স অফিস কালেকশন কত?
১৬ জুন মুক্তি পেয়েছে 'আদিপুরুষ'। প্রথম সপ্তাহান্ত কেটে গেছে। একাধিক ট্রেড অ্যানালিস্টদের হিসেব অনুযায়ী, এই ছবি প্রথম তিন দিনের শেষে ১২৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ভারতে। রবিবার, 'আদিপুরুষ' ছবির আয়ের পরিমাণ দেশে ৬৫ কোটি টাকা।
এর আগে ছবির নির্মাতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম দুই দিনের বক্স অফিস আয়ের পরিমাণ ঘোষণা করেন। বিশ্বজুড়ে এই ছবি প্রথম দুই দিনে ২৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। প্রথম দিনে বিশ্বজুড়ে এই ছবি ১৪০ কোটি আয় করে এবং দ্বিতীয় দিনে সেই পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪০ কোটিতে। অর্থাৎ প্রথম সপ্তাহান্তের শেষে বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটি পার করে ফেলেছে ছবির ব্যবসা।
প্রসঙ্গত, এই ছবির নির্দিষ্ট কিছু সংলাপ নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। একাধিক সমালোচনা, ট্রোলিংয়ের সম্মুখীন হয়েছে ছবির ভিএফএক্সও। বিপুল সমালোচনার মুখে ছবির পরিচালক ও সংলাপ রচয়িতা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সমস্ত সংলাপে মানুষের আবেগ আহত হয়েছে, সেগুলি বদলে নতুন করে লেখা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন ছবির সংলাপ রচয়িতা মনোজ মুনতাশির।
ছবির ভিএফএক্সও সমালোচনা ডেকে এনেছে। গত বছর 'আদিপুরুষ' ছবির প্রথম ঝলক মুক্তির পরও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ছবির কাজ স্থগিত রাখা হয়, মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দর্শকের কথা মাথায় রেখে ভিএফএক্স বদলানো হয় বলেও জানানো হয় নির্মাতাদের তরফে। কিন্তু সংশোধন সত্ত্বেও ট্রোলিংয়ের শিকার হয় ছবির ভিস্যুয়াল এফেক্টস। প্রভাস, কৃতী শ্যানন অভিনীত ছবিতে অভিনয় করেছেন সেফ আলি খান, সানি সিংহ, দেবদত্ত নাগও।
আরও পড়ুন: Curly Hair: কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?
এবিপি লাইভের রিভিউ অনুযায়ী, 'শুরুর দিকে ছবিটা তেমন জমাটি লাগে না। ছবির সঙ্গে দর্শকের সংযোগ তৈরি হয় না। কিন্তু হনুমান যখন পর্দায় আসে, তখন থেকে ছবিটা তবুও একটু আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে ততটাও না যতটা রামায়ণ ধারাবাহিক আকর্ষণীয় লাগত। কোনও চরিত্রই তেমন করে মন ছোঁয় না যতটা দর্শকের আশা ছিল। আর খারাপ ভিএফএক্স দর্শকের আকর্ষণ কয়েক গুণ কমিয়ে দেয়। যদি এত টাকা খরচ করে যদি এত খারাপ ভিএফএক্স তৈরি হয়, তাহলে ভাবতে অবাক লাগে সেইসময়ে রামানন্দ সাগর কীভাবে এতটা আকর্ষণীয় ধারাবাহিক তৈরি করেছিলেন। কিছু সংলাপ এমনভাবে বলা হয়েছে, যেটা শুনেও অবাক লাগে। ছবির মধ্যে থেকে বিশ্বাসযোগ্যতাকেই কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে যুদ্ধের দৃশ্যগুলি এমনভাবে ফিল্মিং করা হয়েছে যে মনে হচ্ছে জম্বিরা লড়াই করছে। হয়তো এই সমস্ত দৃশ্যে একটা হলিউডের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বলিউডের ধাঁচও কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছে। ছবিতে অনেকবার শ্রী রামের নাম শোনা ছাড়া আর কিছুই ভাল লাগার নেই।'
এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial