Alivia Sarkar Exclusive: অচেনা নম্বর থেকে ফোন, অঞ্জন দত্তের গলা শুনে বাকরুদ্ধ অলিভিয়া!
'মার্ডার ইন দ্য হিলস' -এর পর অঞ্জন দত্তের ওয়েব সিরিজ 'মার্ডার বাই দে হিলস'-এ অভিনয় করছেন অভিলিয়া সরকার। তাঁর চরিত্র গোটাটাই ফ্ল্যাশব্যাকে
কলকাতা: প্রথম সুযোগ এসেছিল প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকেই। তাই চরিত্র আর কাজ নিয়ে আঁচ পেয়েছিলেন অলিভিয়া সরকার (Alivia Sarkar)। তারপরে একদিন হঠাৎ অচেনা নম্বরে একটা ফোন। ওপার থেকে সেই চেনা ভারি কন্ঠস্বর..'হাই.. অঞ্জন দত্ত স্পিকিং..'। কয়েক মুহূর্তের জন্য যেন কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অলিভিয়ার। তারপরে নিজেকে নিজেই বললেন যেন, 'অলিভিয়া, ওঁর সঙ্গে কাজ করতে হবে তোকে। বড় হও।'
'মার্ডার ইন দ্য হিলস' -এর পর অঞ্জন দত্তের ওয়েব সিরিজ 'মার্ডার বাই দে হিলস'-এ অভিনয় করছেন অভিলিয়া সরকার (Alivia Sarkar)। তাঁর চরিত্র গোটাটাই ফ্ল্যাশব্যাকে। অঞ্জন দত্তের সঙ্গে প্রথম কাজ করার কেমন অভিজ্ঞতা হল অলিভিয়ার? অভিনেত্রী বলছেন, 'এই সফরটা না ভোলার মতো। আমার গোটা শ্যুটিংটাই হয়েছে কলকাতায়।' অঞ্জন দত্ত মানেই তো পাহাড়ে শ্যুটিং। যেতে পারলেন না বলে আফশোস রয়েছে? অলিভিয়া বললেন, 'অবশ্যই। আমার বিশ্বাস যাঁরা বাইরে শ্যুটিং করে এসেছে তাঁদের দৃশ্যগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগবে। আমিও কখনও না কখনও অবশ্যই সুযোগ পাব। আপাতত এই সুযোগটুকু নিয়েই খুশি।'
গোটা শ্যুটিংয়ে সবচেয়ে স্মরণীয় কী হয়ে থাকবে? অলিভিয়া বলেছেন, 'সবকিছুই। সাধারণত শ্যুটিংয়ে যাওয়ার আগে আমার রাতে ঘুম হয় না। খুব টেনশন হয়। কিন্তু ফ্লোরে গিয়ে সবাই এতটা সাহায্য করে, ভয় কেটে যায়। এবার গিয়ে আমি তো অঞ্জনদাকে প্রশ্নই করে ফেললাম, তুমি কী করে প্রতিবার এই ম্যাজিকটা তৈরি করো? আর আমি খুব বাধ্য ছাত্রী। পরিচালকেরা যেমন চান, তেমনটাই পর্দায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।'
আরও পড়ুন: Shrimati: সংসার করতে ভালোবাসা মানে কি নিজেকে হারিয়ে ফেলা? উত্তর দেবে 'শ্রীমতী'
অলিভিয়া জানালেন, এই ছবিতে তৃণা সাহা, পায়েল সরকার, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের মতো নতুন মুখেদেরও দেখা যাবে। তবে গোটা সিরিজের গল্প বলতে এখনই রাজি নন অলিভিয়া। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ছবি মুক্তির।
একপরে আর কোন কোন প্রোজেক্টে দেখা যাবে তাঁকে? অলিভিয়া বলছেন, 'আবার অরণ্যের দিনরাত্রি ছবিটায় কাজ করেছি। ওটা খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে। দেবালয় ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে একটা কাজ করলাম অ্যামাজন প্রাইমে। সবটাই আমার কাছে মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা। সবকিছু থেকেই আমি শিখি। সবসময় চেষ্টা করি যেন অহংকারী না হয়ে যাই। আর প্রত্যাশা কম রাখি। যত প্রত্যাশা করব, তত বেশি মন ভাঙবে। আমি চাই আমার কাছে কাজের সুযোগগুলো চমকের মতোই আসুক।'