Ambarish Bhattacharya Interview: জীবনের প্রথম কাজটা পেয়েছিলাম মোটা বলেই, বডি শেমিংকে কখনও গুরুত্ব দিইনি
Actor Ambarish Bhattacharya Interview: ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের বডি শেমিং নিয়ে একাধিক কথা হয়েছে, এমনকি তা তুলে ধরা হয়েছে বড়পর্দাতেও। তবে পুরুষদের বডি শেমিং নিয়ে কথা হওয়া দরকার বলে কি অম্বরীশ মনে করেন?
কলকাতা: তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ছোটপর্দা থেকে। ধারাবাহিকের নাম ছিল 'রাজা অ্যান্ড গজা'। সেই ধারাবাহিকেই আলাদাভাবে নজর কেড়েছিলেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য্য (Ambarish Bhattacharya)। কিন্তু কেবল হাস্যরসে মোড়া ধারাবাহিক নয়, একের পর এক ছবি, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের হাত ধরে তিনি প্রমাণ করেছেন, তিনি যথার্থই চরিত্রাভিনেতা। বিভিন্ন ধাঁচের চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে তিনি বেশ সাবলীল। সদ্য, 'ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য' ছবিতে অজিতের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। আর এবার, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের অভিনয় কেরিয়ার নিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে নিজের ভাবনা, অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অম্বরীশ।
ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের বডি শেমিং নিয়ে একাধিক কথা হয়েছে, এমনকি তা তুলে ধরা হয়েছে বড়পর্দাতেও। তবে পুরুষদের বডি শেমিং নিয়ে কথা হওয়া দরকার বলে কি অম্বরীশ মনে করেন? অভিনেতা বলছেন, 'ফাটাফাটি ছবিটা প্রথম আমায় আর অপাদিকে (অপরাজিতা আঢ্য)-কে নিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পরবর্তীকালে আমাদের ডেট না পাওয়ার জন্যই গল্প বদলাতে হয়। তবে মহিলাদের মতো পুরুষদেরও বডি শেমিং হয়। তবে আমি কখনও এই বিষয়টাকে পাত্তা দিই না। কারণ আমার জীবনের প্রথম কাজটা পাওয়া মোটা হওয়ার সৌজন্যেই। রাজা অ্যান্ড গজা নামে যে ধারাবাহিকটি হয়েছিল, সেখানে আমি গজার চরিত্রে সুযোগ পেয়েছিলাম মোটা বলেই। আর বডি শেমিংকে আমি কেরিয়ারে কখনোই পাত্তা দিই নি। আমার জীবনে মোটা হওয়াটা কিন্তু পজিটিভভাবেই এসেছে। তবে তাই বলে মোট থাকা কোনও কাজের কথা নয়। কিন্তু আমি জোর দিই ফিটনেসে। অনেক মানুষ মোটা হয়েও অসুস্থ হন, সেটা কাম্য নয়। যেমন শারিরীক ফিটনেস জরুরি, তেমনই দরকার মানসিক ফিটনেসও। আমাদের চারপাশে তো মানসিক ফিটনেস, চিন্তাভাবনার খুব অভাব। মস্তিষ্ক নিয়ে কখনও শেমিং করা হয় না। আমার ধারণা সেটা নিয়ে শেমিং করলে হয়তো কাজ হবে।'
দেবের সঙ্গে একাধিক কাজ করেছেন অম্বরীশ। ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? অম্বরীশ বলছেন, 'দেবের সবচেয়ে ভাল দিক হল, ও ভীষণ মজা করে কাজ করে। কোনও বিষয়কে সিরিয়াসলি নেয় না। আর সমস্ত ব্যবস্থাপনার দিকেও ওর নজর থাকে। বিরসার (বিরসা দাশগুপ্ত)-র গোটা টিমটাও ভীষণ ভাল। ও মুম্বইতেও কাজ করছে। ফলে শিল্পীদের কীভাবে যত্ন নিতে হয় বিরসা জানে। পরিচালক কী চাইছেন, সেটা সহকারী এসে কানে কানে বুঝিয়ে দিয়ে যেতেন। এই চল টলিউডে নেই। সব মিলিয়ে, টলিগঞ্জের চিরাচরিত শ্যুটিং ফ্লোর থেকে বেরিয়ে মধ্যপ্রদেশের এই শ্যুটিং যেন এক ঝলক ঠাণ্ডা হাওয়া।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial