Anirban Chakrabarty: সোশ্যাল মিডিয়ায় সব ছড়িয়ে দিলে আর ব্যক্তিগত জীবন কী রইল
Anirban Chakraborty on Shotyi Bole Shotyi Kichhu Nei: দর্শক তো শুধু অনির্বাণকেই দেখছেন বিভিন্ন ছবি জুড়ে। কেমন লাগছে অভিনেতার?

কলকাতা: এক একটা সিনেমা আর এক একটা সম্পূর্ণ আলাদা ধরণের চরিত্র। একের পর এক ছবিতে দর্শকদের যেন চমকে দিচ্ছেন তিনি। অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakrabarty)। কখনও তিনি 'একেনবাবু', কখনও তিনি ফেলুদা-র 'লালমোহনবাবু' আবার কখনও তিনি এক্কেবারে নেতিবাচক একটা চরিত্রে। ঠিক কী দেখে ছবিতে চরিত্র বাছেন অনির্বাণ? সাফল্যের টোটকাটা তাঁর কাছে কী? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই'-মুক্তির আগে অনির্বাণ আড্ডা দিলেন এবিপি লাইভ বাংলা (ABP Live Bangla)-র সঙ্গে।
দর্শক তো শুধু অনির্বাণকেই দেখছেন বিভিন্ন ছবি জুড়ে। কেমন লাগছে অভিনেতার? একটু হেসে অনির্বাণ বললেন, 'ভালই। গত দেড় বছর ধরে এই কাজগুলো একের পর এক করে চলেছি। সেই কাজগুলো একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে এটায় ভালই লাগছে। তবে তার চেয়েও বেশি ভাল লাগছে দর্শকেরা ছবিগুলো দেখছেন বলে।' এখন কী আগের থেকে বেছে কাজ করেন অনির্বাণ? অভিনেতা বলছেন, 'আমি চিরকালই বেছে কাজ করি। চরিত্র ছোট না বড় সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়, গল্পে সেই চরিত্রটার কী কী করার থাকছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এমন চিত্রনাট্যও ফিরিয়ে দিয়েছি যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হয়তো চরিত্রটা রয়েছে, কিন্তু তার বিশেষ কিছুই করার নেই। যেমন চরিত্র আমি করিনি তেমন চরিত্র আমায় আকর্ষণ করে। আর আমি কোনোদিন টাকার জন্য কোনও চরিত্র নির্বাচন করিনি।'
'সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই'-তে অনির্বাণের চরিত্রটা ঠিক কেমন? অনির্বাণ বলছেন, 'আমার চরিত্রের নাম গৌরঙ্গ আগরওয়াল। সে একজন ব্যবসায়ী। অনেকদিন ধরে কলকাতায় থাকে। সৃজিত মুখোপাধ্যায় ১২টা চরিত্রকে এমনভাবেই সাজিয়েছেন যে তাঁরা একে অপরের থেকে ভীষণ আলাদা। সেই কারণেই তো তাদের ধারণার বিবাদ হবে। সবাই যদি একরকম হত, তাহলে তো এত দ্বৈরথই হত না।' এই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হল? অনির্বাণ বলছেন, 'আসল চিত্রনাট্যে গল্পটা ছিল একটাই ঘরের মধ্যে। সৃজিত এই ছবিটাকে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলেছে। কখনও সমুদ্রের ধারে, কখনও জঙ্গলের মধ্যে, কখনও খোলা মাঠে.. খুব গরমের সময়টা আমাদের শ্যুটিং হয়েছে। চিত্রনাট্যটা এমনই ছিল যে আমাদের ১২ জনকে সবসময় উপস্থিত থাকতে হত। কাজেই বিশ্রাম নেওয়ার কোনও জায়গাই ছিল না। আর সৃজিত বলেছিল, রিহার্সাল দিয়ে সেটে আসতে। ফলে কোন কোন দৃশ্যে আমরা কে কি করব সবটাই আমরা আগে থেকে জানতাম।'
একের পর এক ছবিতে কাজ, টলিউডে সাফল্য পাওয়ার জন্য কী কী প্রয়োজন বলে অনির্বাণ মনে করেন? অভিনেতা বলছেন, 'আমি অভিনয়টায় মন দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করিনি। তাতে আমি এখন যে কাজ করছি, তাকে যদি সাফল্য বলেন, তাহলে এই অভিনয়ে মন দিয়েই পেয়েছি। এটা ছাড়া আমি আর কিছু জানি না। যখন এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম, আমি একেবারেই বাইরের লোক ছিলাম। কাউকেই আমি চিনতাম না। ৬ বছরে যা যা কাজ করেছি, সেটা আমার কাজের জন্যই এসেছে। আমি যেটা করে গিয়েছি, সেটা হল মন দিয়ে কাজ করে যাওয়া, একাগ্র থাকা। আর কী কী সাফল্যের জন্য প্রয়োজন আমি জানি না।' কখনও মনে হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেতা হিসেবে প্রাসঙ্গিক থাকতে ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরা জরুরি? অনির্বাণ বলছেন, 'আমার কখনোই সেটা মনে হয়নি। আমার কোনও বিষয়ে মতামত থাকতেই পারে, সেটা বদলাতেই পারে। তবে সেটা আমি সবসময় সবার সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করি না। এভাবে প্রাসঙ্গিক থাকা যায় কি না সেই সম্পর্কে আমার সন্দেহ রয়েছে। আর ব্যক্তিগত জীবন তো ব্যক্তিগতই। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি সমস্তটা দিয়েই দিই, তাহলে আর ব্যক্তিগতটা কী রইল? আমার খুব সোজা হিসেব.. আমি কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী নই। আমার ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়েও কারও আগ্রহ থাকার কথা নয়।'
আরও পড়ুন: Shantanu Maheshwari: শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, 'চালচিত্র'-র পরে বাংলাদেশ থেকেও কাজের অফার পাচ্ছি
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
