Aryan Khan Case: মাদক মামলায় ষড়যন্ত্র করেছিলেন আরিয়ান খান? জামিনের বিস্তারিত রায়ে কী জানাচ্ছে বম্বে হাইকোর্ট?
গত ২৮ অক্টোবর মাদক মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও নিয়ম কানুনের জন্য ৩১ অক্টোবর মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পান আরিয়ান খান। জামিন পাওয়ার পর প্রতি শুক্রবার তাঁকে এনসিবি দফতরে হাজিরাও দিতে দেখা গিয়েছে।
মুম্বই: গত ২রা অক্টোবর মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর রেভ পার্টি থেকে মাদককাণ্ডে আটক হন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan)। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এরপর নিম্ন আদালতে বারবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এনসিবির পক্ষ থেকে আইনজীবীর দাবি ছিল, জামিন পেলে প্রভাব খাটিয়ে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন আরিয়ান। বারবার জামিনের আবেদন খারি্জের পর বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানান আরিয়ান খানের আইনজীবীরা। আর গত ২৮ অক্টোবর স্বস্তি দিয়ে আরিয়ান খানের জামিন মঞ্জুর করে বম্বে হাইকোর্ট। আজ বম্বে হাইকোর্টে তাঁর জামিনের বিস্তারিত রায়ে উঠে এলো বিস্ফোরক এবং বিস্তারিত তথ্য।
গত ২৮ অক্টোবর মাদক মামলায় জামিন মঞ্জুর হলেও নানান নিয়ম কানুনের জন্য ৩১ অক্টোবর মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল থেকে ছাড়া পান আরিয়ান খান। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জামিন পাওয়ার পর প্রতি শুক্রবার তাঁকে এনসিবি দফতরে হাজিরাও দিতে দেখা গিয়েছে। শনিবার আরিয়ান খানকে বড় স্বস্তি দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। জামিনের বিস্তারিত রায়ে বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে কোনও ষড়যন্ত্র করেছেন, প্রাথমিকভাবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা যে কোনও বেআইনি কাজ করার লক্ষ্যে ছিলেন, এমন কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন - Sreelekha Mitra Updates: বিবাহবার্ষিকীতে মন খারাপ, বিশেষ দিনে বিশেষ ছবি পোস্ট শ্রীলেখা মিত্রের
আরিয়ান খানের জামিনের বিস্তারিত রায়ে ১৪ পাতার রায় প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি নীতিন সামব্রে ১৪ পাতার রায়ে জানিয়েছেন যে, মাদক মামলায় আরিয়ান খান যে ষড়যন্ত্র করেছেন, তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। পাশাপাশি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এমনটাও জানানো হয়েছে যে, আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা শুধুমাত্র ওই প্রমোদতরীতে সফর করছিলেন বলে, তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে দাবি করা আরিয়ান খানদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগের ভিত্তি হিসেবে অভিযুক্তদের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া গিয়েছে কিনা, তাও আদালতকে খতিয়ে দেখতে হবে। প্রমোদতরীতে যাত্রা করাকালীন আরিয়ান খানের কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি।
এরইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, আরিয়ান খানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেও কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ১৪ পাতায় বিস্তারিত রায়ে জানানো হয় যে, আরিয়ান খান এবং আরবাজ খানের সঙ্গে যাত্রা করছিলেন না মুনমুন ধামেচা।