Ashish Vidyarthi: বয়স বেড়েছে বলে কি খুশি থাকারও অধিকার নেই? প্রশ্ন আশিস বিদ্যার্থীর
Ashish Vidyarthi Marriage Update: তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী রূপালি বড়ুয়া একজন স্বনির্ভর নারী। আশিসের দাবি, রূপালির সঙ্গে তাঁর আলাপ, বন্ধুত্ব যেন তাঁকে জীবনের নতুন দিশা দেখিয়েছিল
কলকাতা: ৫৭ বছর বয়সে বিয়ে। অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী (Ashish Vidyarthi)-র এই সিদ্ধান্তকে যেন মেনে নিতে পারেননি নেটদুনিয়ার অনেকেই। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চরম ট্রোলড হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। সেই নীতিপুলিশির ঝাঁঝ এতটাই মারত্মক ছিল, যে বিয়ের পরে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেতাকে কার্যত কৈফিয়ৎ দিতে হয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে। আর ফের একবার, একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বিয়ে, সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা।
তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রী রূপালি বড়ুয়া একজন স্বনির্ভর নারী। আশিসের দাবি, রূপালির সঙ্গে তাঁর আলাপ, বন্ধুত্ব যেন তাঁকে জীবনের নতুন দিশা দেখিয়েছিল। একটি সাক্ষাৎকারে নিজের বিয়ে ও তারপরে কটূক্তির স্বীকার হওয়া নিয়ে অভিনেতা বলেন, 'আমি দ্বিতীয় বিয়ের পরে প্রচুর কুরুচিকর কথা, কটূক্তি শুনেছি। কেবলমাত্র বয়স বেশি বলে আমরা একে অপরের দিকে এত কটূক্তি ছুঁড়ে দিচ্ছি! আর এই কথাগুলো যখন আমরা অন্যকে বলছি, তখন মনের অন্দরে আমরা নিজেদের জন্যও একটা গন্ডি টেনে দিচ্ছি যে আমার বয়স হয়ে গিয়েছে, এই এই কাজগুলো আমার জন্য শোভন ন। শুধুমাত্র বয়স বেড়েছে বলে কি একটা মানুষ খুশি থাকার অধিকারও হারিয়ে ফেলে! একজন মানুষ যদি একটা সঙ্গী চায়, সেটা কী অপরাধ?'
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আশিস বিদ্যার্থী বলেন, "পিলুর (প্রথম পক্ষের স্ত্রী) সঙ্গে সমস্ত সমাপ্তির পরে, গত বছর আমি আমার একটি অ্যাসাইনমেন্টের সময় রূপালীর সঙ্গে দেখা করি এবং আমরা কথা বলা শুরু করি। এরপর আমরা আবিষ্কার করেছি যে সেও জীবনের নানান ব্যথার মধ্যে দিয়ে গেছে। পাঁচ বছর আগে সে তার স্বামীকে হারিয়েছে এবং আবার বিয়ের কথা ভাবছে না। কিন্তু কথা বলতে বলতে আমরা আবিষ্কার করেছি যে একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে, রূপালী জীবনকে নতুন করে দেখতে পারে এবং বিয়ে করার কথা বিবেচনা করতে পারে৷ আমি আশ্চর্যজনক অনুভব করছি যে আমি এমন একজনের সঙ্গে আছি যিনি তার জীবনের এই পর্যায়েও জীবনটাকে একটু অন্যভাবে দেখতে পারে। তাঁর বয়স ৫০ আর আমার বয়স ৫৭, তাহলে একসঙ্গে ভাল থাকা সম্ভব নয় কেন?'
আশিস আরও বলেন, "পিলু এবং আমি একটি আশ্চর্যজনক বিয়ের বিস্ময়কর স্মৃতি নিয়ে হাঁটছি। আমি কখনোই পিলুর সঙ্গে আমার ছেলের মায়ের মতো সম্পর্ক করিনি। পিলু আমার বন্ধু, আমার স্ত্রী ছিল। সে আমার সঙ্গে এমনই ছিল... অনুগ্রহ করে মনে করবেন না যে সম্পর্কছেদে আমাদের কষ্ট হয়নি। বিচ্ছেদের ব্যথা হয়েছে। পিলু এবং আমি এবং মোগলি দুজনেই ব্যথার মধ্য দিয়ে গেছি। তবে আপনার কাছে একটি পছন্দ আছে। আপনি কি এটি মোকাবেলা করতে চান নাকি আপনি এটি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে চান? তাহলে জীবন চলে যায়।'
আরও পড়ুন: Skin Care with Ice Water: গরমের দিনে বরফ মেশানো জল দিয়ে মুখ ধুলে কী কী উপকার পাবেন?