Documentary Film: অঘোরিদের জীবন সত্যিই কি রহস্যাবৃত? অনুসন্ধান করছেন এক বঙ্গকন্যা
Documentary Film with Aghories: 'এহসাস বলছেন, 'অঘোরিদের ওপর রিসার্চ করা শুরু করি। তাঁর কেমন হয়? কেমনভাবে জীবন যাপন করেন? তাদের জীবনে কী কী রহস্য রয়েছে.. এই সমস্ত।'
কলকাতা: কুম্ভমেলায় জনসমাগম। দলে দলে সাধারণ মানুষ এসে যোগ দিচ্ছেন কুম্ভে। আর সেই সঙ্গে রয়েছেন প্রচুর সাধুসন্তেরা। আর এবার সেই মহাকুম্ভে অঘোরি সাধুদের ওপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন বাঙালি মেয়ে এহসাস। গোটা ছবিটির শ্যুটিং হচ্ছে মহাকুম্ভ ও দেশের অন্য়ান্য অংশে। গোটা শ্যুটিং জুড়ে তুলে ধরা হয়েছে অঘোরি সাধুদের বিভিন্ন রহস্যের কথা। অঘোরি সাধুদের জীবন এমনিই রহস্যাবৃত। আর সেই রহস্যকেই এবার তথ্যচিত্রের মোড়কে পর্দায় তুলে আনছেন এহসাস।
পরিচালক এবিপি লাইভকে বলছেন, 'আমার প্রথম কাজ 'রেড নটস'। আমি একটু অন্য ধারার কাজে বিশ্বাসী। 'রেড নটস' ছিল সোনাগাছি এলাকা নিয়ে একটা কাজ। আমি যেখন দ্বিতীয় কাজ করতে যাই, মনে হয় এই কাজটা একেবারে অন্যরকম হলে ভাল হয়। সেই কাজটা করতে গিয়েই অঘোরিদের ওপর রিসার্চ করা শুরু করি। তাঁর কেমন হয়? কেমনভাবে জীবন যাপন করেন? তাদের জীবনে কী কী রহস্য রয়েছে.. এই সমস্ত। কাজ করতে গিয়ে আমি দেখি, অঘোরিদের যে ইতিবাদক দিকটা অনেক বড়। তবে তা নিয়ে খুব কম কাজ হয়েছে। আমার আস্তে আস্তে এই বিষয়টার ওপর আকর্ষণ বাড়তে থাকে। আমি ধীরে ধীরে অঘোরিদের সঙ্গে দেখা করতে শুরু করি। ওঁদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করি। সেই তথ্যচিত্রে একেবারে আসল অঘোরিদের দেখানো হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, অঘোরিরা একটু হিংস্র প্রকৃতির। অঘোরিরা বিভিন্ন নেশায় যুক্ত। তাঁরা নাকি মানুষের মাংস খায়। আমি যখন ওঁদের সঙ্গে আলাপ, কথা বলা শুরু করলাম, বুঝলাম ওরা কেবল এই নীতিতে বিশ্বাস করে, 'তুমি শিব আমি শিব।' এটুকুই ওঁরা জানেন। সাধারণ মানুষের দৃষ্টি থেকে একটু অন্যরকম দৃষ্টি ওঁরা তুলে ধরেন। আমি যে কেবল বেনারসে বা কুম্ভমেলায় এই ছবিটির শ্যুট করেছি তা নয়, আমি ধীরে ধীরে হরিদ্বার থেকে রুদ্রপ্রয়াগ থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গিয়েছি। আরও কিছুটা শ্যুটিং বাকি আছে। আশা করি আপনাদের সবার কাজটা ভাল লাগবে। তবে এত ছোট একটা তথ্যচিত্রে অঘোরিদের বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তাই সবার যদি ভাল লাগে, যদি ভালবাসা পাই... তাহলে আমি চাইব অঘোরিদের নিয়ে আরও কাজ করতে। কারণ ওঁদের জীবনটা সত্যিই খুব আকর্ষণীয়।'
আরও পড়ুন: Salman Khan: নিরাপত্তার বাড়াবাড়ির জন্য নয়, আগেও অনুরাগীদের মাঝখানে পৌঁছে যেতে ভয় পেতেন সলমন খান!