Salman Khan: নিরাপত্তার বাড়াবাড়ির জন্য নয়, আগেও অনুরাগীদের মাঝখানে পৌঁছে যেতে ভয় পেতেন সলমন খান!
Salmab Khan News: সলমন খান তাঁর ছবির প্রচারে একাধিক শহরে যান। সেই সময়ে তাঁকে পাপারাৎজিদের গাড়ি ধাওয়া করা হয় বলে সলমন জানান
কলকাতা: সলমন খান (Salman Khan)-এর নিরাপত্তা সদ্য বেড়েছে। বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পরে, নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছেন সলমন খান। নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই চলছে তাঁর শ্যুটিং-এর কাজ। আপাতত 'সিকন্দর'-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। তবে কেবল মাত্র নিরাপত্তার কারণে সদ্য নয়, যখন সলমন খান অন্য জায়গাতেও যান , তখনও নাকি তিনি চিন্তিত থাকেন শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে। তাঁর বারে বারে মনে হয়, তাঁর জন্য শিশু বা প্রবীণদের ক্ষতি হতে পারে।
সলমন খান তাঁর ছবির প্রচারে একাধিক শহরে যান। সেই সময়ে তাঁকে পাপারাৎজিদের গাড়ি ধাওয়া করা হয় বলে সলমন জানান। বিমানবন্দর থেকে ধাওয়া করা হয় তাঁর গাড়ি। আর সেই সময়ে প্রত্যেকটা গাড়িরই ভীষণ গতি থাকে। সেই সময়ে সলমনের চিন্তা হয়, তিনি যাতে কারোও অসুবিধার কারণ না হয়ে ওঠেন। রাস্তায় অনেক শিশু থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধারা চলাফেরা করেন। সলমনের মনে হয়, সেই সমস্ত শিশু ও বৃদ্ধের যেন অসুবিধা না হয়। গাড়ির গতিবেগের ফলে কারও যেন প্রাণহানি না ঘটে।
সলমন আরও জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি ছবির প্রচারের জন্য শপিং মল বা এই ধরণের জায়গাগুলি এড়িয়ে চলেন। তার কারণ সেখানে প্রবীণ ও শিশুরা অনেকেই আসেন। ঘুরে বেড়ান। সেই কারণে এই ধরণের কোনও জায়গায় ছবির প্রচার হলে তাঁদের অসুবিধা হতে পারে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সলমন। তবে বর্তমানে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছেন সলমন। অনুরাগীদের কাছাকাছি আসা তাঁর প্রায় বন্ধই বলা চলে। নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া রয়েছে তাঁর চারিদিক।
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছিল একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছিল, সলমন খান যে অ্যাপার্টমেন্টে থআকেন, সেই অ্যাপার্টমেন্টের কাচ বদলে দেওয়া হচ্ছে। এমন কাজ লাগানো হয়েছে, যেখানে বাইরে থেকে কিছুই ঠাওর করা যায় না। আর এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়চড়ে বসেছেন নেটিজেনরা। তবে কী ফের বিপদ ঘনিয়ে এসেছে? সলমন খান কি ফের হুমকি পেয়েছেন? সেই উত্তর অবশ্য অধরা। এর আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার হয়েছে সলমন খানকে হুমকি দেওয়া একাধিক ব্যক্তি। তবে এবার বাড়ল সলমনের বাড়ির নিরাপত্তা। প্রসঙ্গত এর আগেই সলমনের জানলার ধারে দাঁড়ানো বা নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া রাস্তায় বেরনো বারণ ছিল।