Bengali Movie Update: ৬টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত 'বাকি ইতিহাস'
Bengali Movie Update: তুষার বল্লভের পরিচালনায় তৈরি হয় 'বাকি ইতিহাস' ছবিটি। অভিনয় করেছিলেন সঙ্গীতা বল্লভ, তন্ময় মজুমদার, সুরজিৎ মণ্ডল, পুলকেশ ভট্টাচার্য।
কলকাতা: ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি 'বাকি ইতিহাস'-এর (Baki Itihash) মুকুটে একের পর এক পালক। বিশ্বজুড়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি।
২০১৯ সালের ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (25th Kolkata International Film Festival 2019), ২০১৯ সালেরই এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, লস এঞ্জেলেস হলিউড (Asian Film Festival, Los Angeles Hollywood), ২০২০ সালে জর্ডনের আম্মান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Amman International Film Festival, Jordan), ২০২০ সালে অর্ল্যান্ডো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (Orlando International Film Festival), ২০২০ সালের নিও-জোহো ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (Neo-Joho Independent Film Festival) ও ২০২১ সালে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (6th Dehradun International Film Festival 2021) নির্বাচিত হয়েছে এই ছবি।
তুষার বল্লভের পরিচালনায় তৈরি হয় 'বাকি ইতিহাস' ছবিটি। অভিনয় করেছিলেন সঙ্গীতা বল্লভ, তন্ময় মজুমদার, সুরজিৎ মণ্ডল, পুলকেশ ভট্টাচার্য।
ছবির গল্পটা খানিকটা এরকম। বাবলু ও জানা ছোটবেলার বন্ধু। তারা একই পাড়ায় থাকে। কিশোর শক্তিতে ভরপুর, জানা একটি স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়। তবে ঘটনার পর থেকে জানা পলাতক। সে গৌরী দির মাধ্যমে বাবলুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু গৌরী দি রাজি হয় না, কারণ সে সবসময় বাবলুকে সব সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা করতে চায়। বাবলুর সঙ্গে ওর সম্পর্কটা একটু অদ্ভুত। ওদের সম্পর্ক দৃশ্যত খুব স্বাভাবিক নয় যদিও তারা প্রতিবেশী ভাই এবং বড় বোন হিসাবে বড় হয়েছে। বাবলু গৌরী দির সঙ্গে পালাতে চায় এবং তার কষ্টের জীবনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চায়। কিন্তু সে পারে না। বরং কিছুদিন পর হঠাৎ সকালে বাবলু গৌরী দির মৃতদেহ খালে ভাসতে দেখে। বাবলু জানতে পারে, খুন করার আগে গৌরীকে ধর্ষণ করা হয়।
একদিন জানা যেখানে লুকিয়ে ছিল সেই স্থানের সন্ধান পায় সেই রাজনৈতিক দলের লোকজন। তাকে সেখানেই খুন করা হয়। বাবলু লুকিয়ে জানাকে খুন হতে দেখে কিন্তু কিছুই করে উঠতে পারে না। অসহায় বোধ করতে থাকে সে।
বাবলুর জীবন ধীরে ধীরে মেশিনের মতো হয়ে যায়। যদিও তার বাবার সবসময় বেশিই আগলে আগলে রাখতে চাইতেন তাকে। ফলে বাবলুর এখনের অভ্যাসে তিনি খুশিই হন। কিন্তু সেই আনন্দ বেশিদিন টিকল না। প্রায় বাবলুর বয়সী এক যুব সন্ত্রাসবাদীর খোঁজে পুলিশ তাদের পাড়ায় আসে। ভয় পেয়ে বাবলুর বাবা তাকে পালিয়ে যেতে বলে। বাবলু তার বাবার সঙ্গে তর্ক করতে পারে না এবং অবশেষে পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশের নজরে পড়ে। সে অন্য এলাকায় চলে যায়। সেখানে গিয়ে প্রত্যেকটা দরজায় কড়া নাড়তে থাকে সে এবং প্রত্যেক দরজায় দেখে তার বাবা দাঁড়িয়ে। একটি বন্দুকের গুলি বাবলুর এতদিনের অস্বাভাবিক জীবনে পর্দা টেনে দেয়।
আপাতত বিভিন্ন চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানে সাড়া জাগিয়েছে এই ছবি।