Vicky Kaushal: কেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়ে আসেন ভিকি কৌশল?
বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন ভিকি কৌশল। খুব শীঘ্রই তাঁরা বিয়েটাও সেরে ফেলবেন। চলতি বছর ডিসেম্বরের একেবারে শুরুতেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন তাঁরা।
মুম্বই: বলিউডে এই মুহূর্তে যাঁদের নিয়ে চর্চা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অবশ্যই অন্যতম নাম ভিকি কৌশল (Vicky Kaushal)। আর তার কারণ অবশ্যই ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বিয়ের গুঞ্জন। বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ক্যাটরিনা কাইফের (Katrina Kaif) সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন ভিকি কৌশল। খুব শীঘ্রই তাঁরা বিয়েটাও সেরে ফেলবেন। চলতি বছর ডিসেম্বরের একেবারে শুরুতেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন ভিকি - ক্যাটরিনা। এমনটাই গুঞ্জন বি টাউনে। যদিও ভিকি কৌশল কিংবা ক্যাটরিনা কাইফের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে কোনো অফিশিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন - ইমরান হাসমি কেমন মানুষ? জানালেন মল্লিকা শেরাওয়াত
অনুরাগীদের জানতে বাকি নেই যে, অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন ভিকি কৌশল। কিন্তু কেন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিলেন? অভিনেতা জানাচ্ছেন, তাঁর মনে হয়েছিল, কোনও অফিসে গিয়ে সাধারণ কোনও চাকরি করা তাঁর দ্বারা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় বর্ষ চলাকালীনই এমনটা অনুভব করেন তিনি। তিনি বলছেন, 'স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করার সময়ই আমি এমনটা অনুভব করি। দ্বিতীয় বর্ষ চলাকালীন একবার এক কারখানায় যেতে হয়েছিল। সেখানে আমাদের দেখানো হচ্ছিল যে, কীভাবে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করতে পারব। কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থাগুলি কাজ করে। সেই সমস্ত কিছু দেখে আমার মনে হয়েছিল, আমরা সকলে যেন একটা ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। সেখানে আমি দেখেছিলাম, কীভাবে কত মানুষ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করে যাচ্ছেন। তখনই প্রথমবার আমার মনে হয়, এই কাজটা আমার জন্য নয়।'
'উরি', 'রাজি', 'সঞ্জু' খ্যাত অভিনেতা ভিকি কৌশলকে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরে দেখা গিয়েছে বেয়ার গ্রিলসের সঙ্গে। অভিনেতার বাবা বর্ষীয়ান অ্যাকশন ডিরেক্টর শ্যাম কৌশল বরাবরই চাইতেন ছেলে যেন অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ভিকি আরও বলছেন, 'আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা করতে দেখে বাবা খুবই খুশি হয়েছিলেন। আমি ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হব, এটা ভেবেও তাঁর ভালো লাগত। কারণ, এর আগে আমাদের পরিবারে কেউ ৯টা - ৫টা ডিউটি করেননি। ৯টা - ৫টা ডিউটি রোজ। মাসের শেষে একটা নির্দিষ্ট টাকা বেতন। সপ্তাহে একদিন কিংবা দুদিন ছুটি। আর সেই দিনগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটানো। এমনটা আমাদের পরিবারে আগে কখনও হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে ওঠার পরই আমি বুঝতে পারলাম, পরিবারের অন্যান্যদের মতো আমার দ্বারাও এমন কাজ সম্ভব নয়।'