‘সুশান্তের টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখেছিলাম’, স্মৃতিমেদুর শ্রদ্ধা
প্রিয় সুশ নেই...
মুম্বই: প্রিয় সুশ নেই। মানতেই পারছেন না বন্ধু শ্রদ্ধা কপূর। মানবিক। মেধাবী। জীবনের প্রতি উৎসাহী। সর্বত্র সুন্দরকে খুঁজে বেরনো এমন একটা জলজ্যান্ত প্রাণ এভাবে থেমে যাবে, কখনও কোনওদিন কল্পনাও করেননি শ্রদ্ধা। ‘ছিছোড়ে’ ছবিতে প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। কলেজের মিষ্টি প্রেম থেকে বৈবাহিক জীবনে ‘বিচ্ছেদ’। তারপর অবসাদগ্রস্ত ছেলের আত্মহত্যার চেষ্টা এবং সেখান থেকে একমাত্র সন্তানকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসা। ‘ছিছোড়ে’ ছিল এক কথায় জীবনের ছবি। অবসাদকে হার মানিয়ে জীবনের জয়গানের ছবি। যার মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ৩৪ বছরের নায়ক। সেই তিনি কিনা করলেন আত্মহত্যা!
না। মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে বারবার। ১৪ জুন, রবিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। পরের দিন ময়নাতদন্তের পর সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। গতকাল গঙ্গায় সলিল সমাধি হয়েছে সুশান্তের চিতাভস্মের। আগামী সপ্তাহেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকা এই শোকগাথা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে শ্রদ্ধার।
সোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে প্রিয় সুশের প্রতি জমে থাকা সব আবেগ ঢেলে দিলেন সতীর্থ শ্রদ্ধা। “যা ঘটেছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে যা ঘটতে চলেছে তা মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সুশান্ত... প্রিয় সুশান্ত, তোমার চলে যাওয়ায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। একেবারে দয়ালু, মানবিক এবং জীবন উপভোগ করা মানুষ ছিলে তুমি। কোথায় কী সুন্দর, সবসময় তা খুঁজে বেরিয়েছ। নিজের ছন্দেই মগ্ন থাকতে”, ইনস্টা পোস্টের শুরুতেই লিখেছেন সাহো অভিনেত্রী।
স্মৃতিমেদুর শ্রদ্ধা আরও লিখেছেন, “দারুণ একজন সহ অভিনেতার সঙ্গেই সুশান্ত অন্তর থেকে ছিল ভাল মানুষ। মানুষের কথা ভাবত এবং চাইত সবাইকে খুশি রাখতে। ওর হাসি, কথা বলা, ভাবনা, সব মিলিয়ে যে কটা মুহূর্ত তৈরি হয়েছে তা সত্যিই অনবদ্য। সুশান্ত মিউজিকের সঙ্গে কবিতা পড়তেও ভালবাসত। নিজের টেলিস্কোপ দিয়ে আমাকে চাঁদ দেখিয়েছিল। আমি তোমাকে খুব মিস করব, প্রিয় সুশান্ত...।”