Entertainment: ১৩ বছর পেরিয়ে সিলভারস্ক্রিনে তোলপাড়! এল 'Avatar: The Way of Water'
Avatar Sequel Creates Storm: ১৩ বছর পেরিয়ে সিলভারস্ক্রিনে ফিরল 'Avatar'! এবং এবারও তোলপাড় ফেলেছে জেমস ক্য়ামেরন পরিচালিত এই দুরন্ত 'সাই-ফাই'। ভক্তেরা অবশ্য এতে আশ্চর্য নন।
লস অ্যাঞ্জেলেস: ১৩ বছর পেরিয়ে সিলভারস্ক্রিনে ফিরল 'Avatar'! এবং এবারও তোলপাড় ফেলেছে জেমস ক্য়ামেরন পরিচালিত এই দুরন্ত 'সাই-ফাই'। ভক্তেরা অবশ্য এতে আশ্চর্য নন। ক্যামেরন আর 'Avatar', দুটি শব্দ একসঙ্গে মানে তো অনন্য অভিজ্ঞতা ঘটবেই।
কী রয়েছে নতুন 'Avatar'-এ?
নতুন ছবির নাম 'Avatar: The Way of Water'। 'প্যান্ডোরা'-র রঙিন দুনিয়ার টানটান গল্প রয়েছে এটিতে। 'প্যান্ডোরা'-র বাসিন্দাদের নাম 'Na'vi' যারা কিনা 'হিউম্যানোয়েড'। ৯ ফুট লম্বা, নীলবর্ণ এই 'Na'vi' -দের উপর মানুষ কী ভাবে হামলা চালাচ্ছে, কী ভাবে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে 'প্যান্ডোরা'-র বাসিন্দারা, এই নিয়েই ছবির গল্প। 'Avatar: The Way of Water'-এ পৃথিবীকে ক্রমশ শেষ হতে থাকা এক গ্রহ হিসেবে তুলে ধরেছেন ক্যামেরন। সেই জন্যই অন্য গ্রহের খোঁজে 'প্যান্ডোরা' আক্রমণ করছে মানুষ। তার পর কী হয়? সেটাই দেখার। ১৯২ মিনিটের ঠাসবুনোটে তৈরি ছবিটির প্রতিটি দৃশ্য দেখার মতো। এক মুহূর্ত চোখ সরানোর উপায় নেই, মত ভক্তদের।
কেন সাড়া?
পশ্চিমি দুনিয়া তো বটেই, ভারতেও তুমুল সাড়া ফেলেছে 'Avatar: The Way of Water'-র অত্যন্ত উন্নত ও নিখুঁত দৃশ্যকল্প। গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রগুলি যত ফুটে ওঠে, তত তার 'ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি' থেকে চোখ ফেরানো কঠিন হয়ে পড়ে। ছবিটি দেখতে গিয়ে বহু সময়েই ২০০৯ সালের 'Avatar'-র কথা মনে পড়ে যাবে ভক্তদের। ওই ছবিতে CGI-র দুরন্ত ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র-পরিচালক। এবারও প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রত্যেকটি শটে দর্শকদের সিটে বসিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছেন পরিচালক। গল্পের প্লট তো বটেই, ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটিতেও তাক লাগিয়েছেন ক্যামেরন। দ্বিতীয় ছবির গল্প শুরু হচ্ছে প্রথম ছবির ঘটনার ১০ বছর পর। দেখা যাচ্ছে, 'ওমাটিকায়া'-র প্রধান হিসেবে প্যান্ডোরা-তেই থেকে গিয়েছেন জ্যাক সালি। 'নেয়টিরি'-র সঙ্গে মিলে রীতিমতো সংসারও করছেন। দুই ছেলে ও এক মেয়ে হয়েছে তাঁদের। রয়েছে এক পালিতা কন্যাও। এক মানুষেরও দেখা মিলবে প্যান্ডোরায়। সেখানেই জন্ম তার। কিন্তু 'cryostasis'-এ করে তাকে পৃথিবীতে আর ফেরত পাঠানো যায়নি। এমন জায়গা থেকে গল্প শুরু। এর পর প্যান্ডোরা আক্রমণ করবে মানুষ। এগোবে গল্প। কোথায় যাবে, কার হার, কার জিত, এই নিয়েই টানটান ১৯২ মিনিট।
তবে ছবিটির মূল ইউএসপি এর আবেগ। আবালবৃদ্ধবনিতা, সকলে এই ছবির সঙ্গে সহজে আত্মিক হতে পারবেন, এমন ভাবেই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। চরিত্রগুলি নির্মাণেও সেই যত্ন স্পষ্ট। দুরন্ত ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি, নস্টালজিয়া-কোশেন্ট সব কিছু সত্ত্বেও তাই আবেগের উপরই ভর করে তুফান তুলেছে 'Avatar: The Way of Water'।
আরও পড়ুন:বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমল ২ শতাংশের বেশি, কলকাতায় কত দাম হল পেট্রলের ?