Kabir Suman on K K: 'শেষ গান গাইছ মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে তোমার পাশে', কে কে-র স্মৃতিতে লিখলেন সুমন
Kabir Suman on K K: এই গানের সঙ্গে আরও এক মন খারাপের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সুমনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অকপটে শেয়ার করে নিলেন সেই ঘটনার কথাও
কলকাতা: তাঁর মৃত্যু ছুঁয়ে গিয়েছে আট থেকে আশিকে। সঙ্গীত জগৎ যেন ভুলতেই পারছে না এমন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের অকালে ঝরে যাওয়া। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনের কথোপকথন, চর্চায় এখনও কেবল ফিরে আসছে একটাই নাম। কে কে। কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (krishnakumar kunnath)। ৩১ মের রাত বোধহয় দুঃস্বপ্নের মতোই ভুলতে চেয়েও কোনোদিন ভুলতে পারবে না কলকাতা।
কে কে (KK)-র মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মনে কথা লিখেছিলেন কবীর সুমন (Kabir Suman)। আর আজ তিনি লম্বা পোস্টে শেয়ার করে নিলেন নিজের মনখারাপ। নিজের লেখা একটি গান আবার নতুন করে লিখলেন তিনি। ভাষা বদলে সেখানে লিখলেন কে কে-র স্মৃতি। প্রেমের সেই গানের সুরে, কথায় জায়গা পেল কেবল অভিমান। রাত গড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই গানের ভিডিও শেয়ার করে নিলেন কবীর সুমন।
আরও পড়ুন: Abhishek Chatterjee: অভিষেকের ছবি সঙ্গে নিয়েই ছুটি কাটাতে পটায়া পাড়ি সংযুক্তা-সাইনার
জাতিস্মর (Jatiswar) ছবির 'এ তুমি কেমন তুমি' গানের সুরে সুমন গান বাঁধলেন, 'এ কেকে কেমন কেকে এই শহরে মরতে আসে/ জেনে নাও কৃষ্ণকুমার এ-গান তোমায় ভালবাসে/ তোমাকে চিনতাম না জানতাম না তুমি এমন/ আমার এই গানের সুরে হঠাৎ পাওয়া কান্না যেমন/ শেষ গান গাইছ মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে তোমার পাশে...'
এই গানের সঙ্গে আরও এক মন খারাপের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সুমনের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অকপটে শেয়ার করে নিলেন সেই ঘটনার কথাও। সুমন লিখেছেন, "এ তুমি কেমন তুমি" গানটি কোনও ছবির জন্য বানাইনি। বানিয়েছিলাম একটি মেয়ের জন্য, একটি বিশেষ ছবির সাউণ্ডট্র্যাকে ব্যবহার হওয়ার ঢের আগে, অনেক আগে, ২০০৫ সালের এক গভীর রাতে, ফোনে মেসেজ করে করে। কোনও খাতায় বা পাতায় লিখিনি। হঠাৎ লিখতে শুরু করেছিলাম আমার ফোনে সরাসরি, আমার বুকে যত কান্না ধরা সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি কান্না নিয়ে, কীপ্যাড টিপে টিপে মেসেজ করে করে। তারপর সুর। -এক পরিচালক আবদার করে চেয়ে নেন গানটি তাঁর ছবির জন্য। স্নেহের জায়গা থেকে দিয়ে দিয়েছিলাম। একটি বিশেষ ছবির সাউন্ডট্যাকে ব্যবহার হওয়ার ঢের আগে, অনেক আগে। ২০০৫ সালের এক গভীর রাতে, ফোনে মেসেজ করে করে। কোনও খাতায় বা পাতায় লিখিনি। হঠাৎ লিখতে শুরু করেছিলাম আমার ফোনে সরাসরি, আমার বুকে যত কান্না ধরা সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি কান্না নিয়ে, কীপ্যাড টিপে টিপে মেসেজ করে করে। তারপর সুর। এক পরিচালক আবদার করে চেয়ে নেন গানটি তাঁর ছবির জন্য। স্নেহের জায়গা থেকে দিয়ে দিয়েছিলাম। (অপরিবর্তিত)