kacher Manush: সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে মুক্তি পাচ্ছে দেব-প্রসেনজিতের 'কাছের মানুষ', কবে?
Tollywood Film Updates: 'কাছের মানুষ' এবং পাড়ি দিতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। কবে সেখানে মুক্তি পাবে এই ছবি?
কলকাতা: গত ৩০ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে দেব (Dev) - প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) অভিনীত ছবি 'কাছের মানুষ' (Kacher Manush)। ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের কাছেও প্রশংসিত হয়। আবেগ, অ্যাকশনে ভরা এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন পথিকৃৎ বসু। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের প্রযোজনায় 'কাছের মানুষ' পুজোর সময় মুক্তি পায়। 'কাছের মানুষ' এবং পাড়ি দিতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। কবে সেখানে মুক্তি পাবে এই ছবি?
'কাছের মানুষ'-এর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে মুক্তি-
এদিন টলিউড অভিনেতা দেব তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন। তাঁর পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে দেশের গণ্ডী টপকে এবার বিদেশে পাড়ি দিতে চলেছে 'কাছের মানুষ'। অভিনেতার পোস্ট থেকেই জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিভিন্ন প্রান্তে মুক্তি পাবে এই ছবি। দুবাই, আবু ধাবি, আজমন এবং শারজার বেশ কিছু সিনেমা হলে দেখা যাবে 'কাছের মানুষ'। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে দারুণ উচ্ছ্বসিত বাংলা ছবির দর্শকেরা।
আরও পড়ুন - Mano Birthday: জনপ্রিয় 'ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও' গায়ক মানোর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানা আছে?
প্রসঙ্গত, জীবন-মৃত্যুর সমান্তরাল চলার বার্তা দিয়ে তৈরি হয়েছে কাছের মানুষ ছবিটি। সেই থেকে প্রবেশ বর্তমান প্রেক্ষাপটে। যেখানে পদে পদে উঠে এসেছে জীবন ও মৃত্যুর টানাপোড়েন। একজন মৃত্যুর সামনাসামনি হয়ে প্রত্যেকদিন। তার জীবনে সেই মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করতে হাজির অপর একজন। আর এই সবের মাঝে নতুন করে বাঁচার আশা নিয়ে আসে অপর একজন। কে কাছের মানুষ, কাছের মানুষের থেকে কতটা চাওয়া যায়, কতটা তাকে দেওয়া যায়, সব ঘেঁটে যেতে পারে এক লহমায়। জীবন-মরণের হিসেব গুলিয়ে যেতে পারে। তবে জীবন-মরণের এই টানাপোড়েনের গল্পের ছত্রে ছত্রে উঠে আসে প্রাণের শহর কলকাতার ঝলক। ট্রেন লাইন, ট্রাম, রকে আড্ডা, ভিড় বাস, গঙ্গার ঘাট কী নেই। জীবন যখন মৃত্যুর মুখোমুখি তখন কী ভূমিকা নেবে 'কাছের মানুষ'। পথিকৃৎ বসুর পরিচালনায়, দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের প্রযোজনায়, দেব-প্রসেনজিৎ-ইশার অভিনয়ে মুক্তি পেয়েছে 'কাছের মানুষ' গত ৩০ সেপ্টেম্বর। ছবির সঙ্গীত পরিচালনায় নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়।
এক সাক্ষাৎকারে ছবির নির্মাতারা জানিয়েছিলেন যে, এই ছবিতে দেব ও প্রসেনজিৎ কেউই ভিলেন নন। চিত্রনাট্যে মারামারি রয়েছে বটে কিছুটা, তবে তা আবেগে। একে অপরের সঙ্গে নয়, ২ জন মানুষ নিজেদের আবেগের সঙ্গে লড়াই করছেন যেন। শুধু তাই নয়, ট্রেনের দৃশ্যে শ্যুটিং যে কতটা কঠিন ছিল, সেই গল্প করেছেন দুজনেই। বাস থেকে পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলাও সহজ ছিল না দেব ও প্রসেনজিতের পক্ষে।