(Source: Poll of Polls)
Kangana Ranaut: একসময় সবথেকে কাছের বন্ধু ছিলেন, তারপরই হঠাৎই ছেদ পড়ল আমির-কঙ্গনার বন্ধুত্বে! কেন?
Kangana Ranaut: কঙ্গনার 'বেস্ট ফ্রেন্ড' ছিলেন মিস্টার পারফেক্টশানিস্ট। কিন্তু অচিরেই চিড় ধরল এই বন্ধুত্বে।
কলকাতা: আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রামে স্টোরিতে একটি পোস্ট করে স্মৃতিচারণা করলেন অভিনেত্রী। যেখানে তিনি বললেন, আমির খান একসময় তাঁর সবথেকে কাছের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু তারপর হঠাৎই ভেঙে যায় এই বন্ধুত্ব।কারণ হিসেবে বলিউডের কুইন জানান, হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে তাঁর যে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলেছিল, সেই সময়ই ছেদ পড়ে তাঁদের সম্পর্কে।
অভিনেত্রী টিভি শো সত্যমেব জয়তে-এর সেটে আমির খানের সঙ্গে একটি পুরানো কথোপকথনের ভিডি শেয়ার করে জানিয়েছেন,তিনি আমির খানতে আগে ইন্ডাস্ট্রিতে 'বেস্ট ফ্রেন্ড' মনে করেছিলেন, কিন্তু এখন আর তা হয় না।কারণ কঙ্গনা-হৃত্বিকের বিবাদে তিনি হৃত্বিকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল কঙ্গনা রানাউতের নাম। বলিউড কুইন তাঁর ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন,'প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে দল বানিয়েছিল বলিউডের একাংশ, এঁদের মধ্য়ে অন্য়তম পরিচালক কর্ণ জোহর (Karan Johar) । প্রিয়ঙ্কাকে একজন স্বপ্রতিষ্ঠিত মহিলাকে এই মানুষগুলো বলিউড ছাড়তে বাধ্য় করেছিল।'
কঙ্গনা এখানে কর্ণ জোহর ও শাহরুখের প্রসঙ্গও তুলেছিলে। জানিয়েছিলেন, কর্ণ এবং শাহরুখ বন্ধুত্বের কথা সবসমই তুলে ধরা হয়, কিন্তু এঁদের সঙ্গে মিলে মুভি মাফিয়ারা দুর্বল বহিরাগতদের কোণঠাসা করে দেয়, এবং প্রিয়ঙ্কাকে ক্রমাগত হয়রানি করা হচ্ছিল। আর এই কারণেই ভারত ছাড়তে বাধ্য় হন তিনি।'
কর্ণ জোহরকে উদ্দেশ্য় করে কঙ্গনা জানিয়,'এই ঘৃণ্য, ঈর্ষান্বিত,এবং বিষাক্ত ব্যক্তিকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সংস্কৃতি এবং পরিবেশ নষ্ট করার জন্য দায়ী করা উচিত। তার গ্যাং এবং মাফিয়া পিআরকে বহিরাগতদের হয়রানির জন্য দায়ী করা উচিত। '
তবে এর কিছুদিন পরই বিমানবন্দরে পাপাজিৎরা তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তা সম্পূর্ণ ভাবে এড়িয়ে গেলেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, 'ফিল্ম মাফিয়া নিয়ে বিতর্ক হলে তো কেউ প্রশ্ন করেন না? আর আমার চারপাশে বিতর্ক হলেই আপনার এভাবে প্রশ্ন করতে থাকেন!'
প্রসঙ্গত, কঙ্গনার সঙ্গেই সহমত পোষণ করেছিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রি। ট্য়ুইটে পরিচালক লিখেছিলেন, ' প্রিয়ঙ্কা একজন রিয়েল লাইফ স্টার'। তিনি আরও লেখেন, ' ইন্ডাস্ট্রির বেশকিছু লোক যখন বহিরাগতদের কোনঠাসা করতে থাকে, তখন এই অবস্থায় অনেকেই শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে, কেউ হাল ছেড়ে দেয়, কেউ নেশায় আসক্ত হয়ে যায়, কেউ আবার প্রাণও হারায়', এই লোকগুলোকে যারা পরাজিত করতে পারে তারাই জীবনে সাফল্য় অর্জন করতে পারে।'